চট্টগ্রামে সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর ফাঁসি, তাঁর স্ত্রী রিজোয়ানা ইউসুফ এবং ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে ছাত্র–জনতা। এ সময় সমাবেশে আইনজীবীরাও যোগ দেন এবং ফজলে করিমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে মামলার শুনানির আদেশ বাতিলের দাবি জানান।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে লোকজন জড়ো হতে থাকেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে। এ সময় তাঁরা ফজলে করিম চৌধুরীর ফাঁসি দাবি করে নানা স্লোগান দেন। একই সঙ্গে তাঁকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে শুনানির প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত আওয়ামী লীগের শাসনামলে ফজলে করিম চৌধুরী রাউজানকে নরকে পরিণত করেছিলেন। তাঁর কথার বাইরে কেউ টুঁ শব্দ করতে পারেননি। প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা ও নির্যাতন করতেন। সারা দেশে গ্রেফতার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কেউ ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে শুনানির সুযোগ না পেলেও ফজলে করিমকে দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে এই আদেশ বাতিল না করলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণারও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
এদিকে ফজলে করিমের ছেলে ফারাজ করিমকে তাঁর বাবার অস্ত্রভান্ডারের রক্ষক বলে দাবি করা হয় বিক্ষোভ সমাবেশে। অবিলম্বে ফারাজ করিমকেও গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে এ বি এম ফজলে করিমসহ তিনজনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ফজলে করিম আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে বিজিবি জানিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে ১৪টি। এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানোর জন্য নিরাপত্তার কারণে তাঁকে ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে আনা হয় হেলিকপ্টারে করে।
পরে ২৪ সেপ্টেম্বর ফজলে করিমকে সকাল সাড়ে সাতটায় আদালতে হাজির করা হয়। গ্রেফতার দেখানো হয় পাঁচ মামলায়। একই সঙ্গে রাউজান থানার একটি মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আদালত প্রাঙ্গণে আগে থেকে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতা সাবেক সংসদ সদস্যের ফাঁসি দাবি করে স্লোগান দেন ও প্রিজন ভ্যানে ডিম নিক্ষেপ করেন। এরপর ১৭ অক্টোবর ফজলে করিমের বিরুদ্ধে আটটি মামলায় ভার্চ্যুয়ালি শুনানি হয়।