চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (সিডিএ) দুই উপদেষ্টার উপস্থিতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি প্রদর্শন করা হয়। শেখ হাসিনার সাথে সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামকেও দেখা যায়। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের বর্ণনা করতে গিয়ে সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও জলাবদ্ধতা প্রকল্পের পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন এই ছবি প্রদর্শন করেন। আর এতেই উত্তেজিত হয়ে উঠেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে সিডিএ সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প ও সামগ্রিক কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার রক্তে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তা আপনারা এখনো ধারণ করছেন না। ফ্যাসিবাদ সরকারের ভুত এখনো মাথা থেকে যায়নি। কোথায় কী দেখাতে হবে সেই বোধও আপনাদের হয়নি?
উপদেষ্টা বলেন, আজকের প্রোগ্রাম নিয়ে আপনাদের কোনো প্রস্তুতি নেই। প্রকল্প উপস্থাপনে কী ছবি ও ভিডিও যাচ্ছে তা আগে থেকে দেখা দরকার ছিল।
এ সময় সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম সিডিএর পক্ষ থেকে উপদেষ্টাকে সরি বলেন এবং একইসাথে ফ্যাসিবাদের ভুত মাথা থেকে সরিয়ে সিডিএতে জুলাই-আগস্টের স্পিরিট নিয়ে সামনের দিয়ে এগিয়ে যাবেন বলে উল্লেখ করেন।
এদিকে মতবিনিময় সভায় সিডিএর পক্ষে প্রকল্প বিষয়ক তথ্য নিয়ে মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপন করেন উপ-প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ ও মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের পরিচালক আবু ঈসা আনসারী, চাক্তাই টু কালুরঘাট শীর্ষক রোড কাম বেড়িবাধ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক রাজীব দাস, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকল্পগুলো নিয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কিউ এম শাহজালাল মজুমদার ও গৃহায়ণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের নির্বাহি প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল সরকার।
সিডিএর মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্প উপস্থাপনের পর গণপূর্ত সচিব হামিদুর রহমান জানতে চান, মাস্টারপ্ল্যানের খসড়া রিপোর্ট কবে নাগাদ জমা হবে। একইসাথে মাস্টারপ্ল্যানে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামতও লিখিত আকারে থাকতে হবে বলে তিনি নির্দেশনা দেন।
অপরদিকে আউটার রিং রোড প্রকল্প এবং চাক্তাই থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত প্রকল্পটি কবে নাগাদ শেষ হবে তা জানতে চাওয়া হয়। এসব প্রকল্প দ্রুত শেষ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান ছাড়াও ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, গণপূর্ত সচিব হামিদুর রহমান খানসহ সিডিএ, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও গৃহায়ণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।