পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ছৈলাবুনিয়া সুইজগেট হতে শ্রীনগর চৌরাস্তা পর্যন্ত চার কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে প্রাইম কোট ছাড়াই কার্পেটিং করার অভিযোগ উঠেছে। মেসার্স এনায়েতুর রহমান নামের পটুয়াখালী এক ঠিকাদার গত ২ ফেব্রুয়ারি উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নে ছৈলাবুনিয়া সুইজগেট হতে শ্রীনগর চৌরাস্তা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তার কাজ পায়। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলী ঠিকাদারের সাথে আঁতাত করে রাস্তার কাজ শুরু থেকেই অনিয়ম করে আসছে এমন অভিযোগের ভিত্তিত্বে পটুয়াখালী জেলা প্রকৌশলী অফিসের কর্মকর্তারা গত শুক্রবার সড়ক পরিদর্শন করে এর সত্যতা পান।
জানা যায়, ঠিকাদারের লোকজন সড়ক সংস্কারে প্রাইম কোট ছাড়া ময়লা আবর্জনার ভিতরেই রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ করছে। রাস্তার কাজে এলজিইডির কোন প্রতিনিধিও নেই। ৪০ মিলি ডেঞ্চ কার্পেটিংয়ের কাজে পাথরের কোন গ্রেডেশন নেই। রাস্তার বিভিন্ন যায়গায় ফেটে ফেটে পাথর আগলা হয়ে পরে থাকলেও নামমাত্র ভিটুমিন দিয়ে দায়সারা কার্পেটিং চলছে। এফ ডিডি আই আরপি ফ্ল্যাট প্রকল্পের আওতায় ঠিকাদার ৩ কোটি টাকার উপরে ২১% লেসে কাজটি পেয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে আঁতাত করে নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কাজ চালিয়ে যান। আর এ কাজে উপজেলা প্রকৌশলী কোন উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে তদারকির দায়িত্ব না দিয়ে একজন প্রজেক্ট ওয়ার্ক সহকারী দিয়ে কাজের তদারকি করান এবং কাজের শুরম্ন থেকেই নামমাত্র কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে অভিযোগ ওঠেছে, উপজেলা প্রকৌশলী তার পছন্দের লোককে নিয়ে পূরো এলজিইডিতে একটা অনিয়মের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। ফলে মুখথুবরে পড়েছে সরকারের কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ। কাজের কোন অগ্রগতি নেই। ঠিকাদারদের অভিযোগ, সঠিকভাবে কাজ করেও মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীকে তার চাহিদা মোতাবেক অর্থ দিয়ে বিল তুলতে হয়। উপজেলা প্রকৌশলী কোন সাইড ভিজিটে গেলেও তাকে টাকা দিতে হয়।
এদিকে এ বিষয়ে ফোনে উপজেলা প্রকৌশলী আশিকের বক্তব্য নিতে চাইলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে এ ব্যাপারে পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন. কাজে অনিয়মের কথা শুনেছি এবং সড়কের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।