ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

জমি ব্যবসায়ী বন্ধ করে দিলেন কবরস্থানের পথ 

দেশবার্তা

আমাদের বার্তা, সাভার

প্রকাশিত: ০০:১০, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সর্বশেষ

জমি ব্যবসায়ী বন্ধ করে দিলেন কবরস্থানের পথ 

সাভার উপজেলার আশুলিয়া ইউনিয়নের কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকায় স্থানীয় এক প্রভাবশালী জমি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সড়কের অংশ দখল করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে সড়কের অন্তত ৬ ফুট মাটি কেটে দখল করা হয়েছে। এতে একটি কবরস্থানের যাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরাপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেও আতঙ্কে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাঠগড়া-জামগড়া সড়কের ব্যাপারী বাড়ি মসজিদ পয়েন্ট থেকে জিয়া হাউজিং-রংমালা হাকিম কারবালা হয়ে কান্দাইল গ্রামের সংযোগ সড়কটির একাংশে মাটি কেটে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে গত ৩১ জানুয়ারি থেকে স্থানীয় আব্দুর রহমান নবী তার জমির সামনে থাকা সড়কের অংশ কেটে নিজের জমির সাথে মিলিয়ে উঁচু করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,  কবরস্থানে কান্দাইল ও নয়াপাড়া গ্রামের মানুষ লাশ দাফন করে। সড়কটি পূর্বদিকে কান্দাইল গ্রাম ও পশ্চিম দিকে নয়াপাড়া গ্রামের সাথে সংযুক্ত। স্থানীয় জমি ব্যবসায়ী নবীর জমির পাশ দিয়ে এই সড়কের অবস্থান। তিনি এই জমি একটি কারখানার কাছে বিক্রি করেছেন। অথচ এলাকাবাসী যার যার বাড়ির পাশের জায়গা ছেড়ে রাস্তা বানিয়েছে। যেই অংশে রাস্তা কাটা হয়েছে সেই অংশের উলটো পাশে যার জমি তিনিও ৬ ফুট জায়গা ছেড়েছে। এই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে পেছনের জমিগুলোর মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে। এই সুযোগে নবী কম দামে ওই জমিগুলো কিনে নেয়ার পাঁয়তারা করছে। 
এদিকে কবরস্থানের জমিদাতা পরিবারের সদস্য এ্যাডভোকেট ফরিদুর রহমান লিটন বলেন, রাস্তা ব্যবহারকারীদের আবেদনের ভিত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের সহযোগিতায় রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে।  জমি ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান নবীর সম্মতিতেই প্রায় আড়াই বছর আগে এই রাস্তা নির্মাণ হয়। এখন রাস্তা কেটে বেশি জমি বিক্রি করাই তার উদ্দেশ্য। আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবি জানাই।

অন্যদিকে এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুর রহমান নবী বলেন, আমি এই জমি একটি পোশাক কারখানার কাছে বিক্রি করেছি। তাদের এখনও জমিটি বুঝিয়ে দেইনি। জমির উপর মাটি ফেলে রাস্তা বানানো হয়েছে তা আমি জানি না। জমি বুঝিয়ে দিতে চাইলে আমার তো পুরো জমি লাগবে। ১ শতাংশ জমিও যদি কম হয় তাহলে আমি কিভাবে বুঝিয়ে দিব। সরকারি মাটি কেন নিজের জমিতে নিলেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি মাটির ব্যাপারে কিছুই জানি না। কবে এই মাটি ফেলা হয়েছে তাও আমি জানি না। আমাকে জিজ্ঞাসা না করেই আমার জমিতে মাটি ফেলেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, আমি শুনেছি রাস্তার মাটি কেটে ফেলা হয়েছে। কয়েক বছর আগে টিআর-কাবিখার ৪০ দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে এই সড়কে মাটি ফেলা হয়েছিল। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব যেন মানুষ ভোগান্তি না হয়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহ-কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী জনগণ ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ইউএনও মহোদয়ের কাছে আবেদন করলে আমরা ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশনায় অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

জনপ্রিয়