আর্থিক অনিয়মে দুর্বল হয়ে পড়া ব্যাংকগুলোকে ধার দিতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়াতে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত তারল্য থাকা সবল ১০ ব্যাংক দুর্বল ৫টি ব্যাংককে সাড়ে ১৯ হাজার কোটি টাকা সহায়তা করতে রাজি হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব ব্যাংকের ঋণের গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা দেবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত তারল্য থাকা যে ১০ ব্যাংক ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে, এর মধ্যে আছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি খাতের ব্র্যাক, ইস্টার্ন, দ্য সিটি, শাহজালাল ইসলামী, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, পূবালী, ঢাকা, ডাচ-বাংলা ও ব্যাংক এশিয়া। গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে এসব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বা তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা সাংবাদিকদের জানান, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে দেয়া ঋণের টাকা ফেরত চাইলে সবল ব্যাংকগুলোকে তিন দিনের মধ্যেই তা ফেরত দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কোনো ব্যাংক ঋণ দেয়ার জন্য কোনো টাকা নিতে পারবে না। কোনো ব্যাংককে কত টাকার তারল্য সহায়তা দেয়া হবে, সেটি নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া দুই ব্যাংকের সমঝোতার ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির মানে হলো, কোনো কারণে কোনো ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই টাকা দেবে। আপাতত কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি টাকা না দিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে ধারের ব্যবস্থা করছে। অর্থাৎ বাজারের টাকা এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে যাবে। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি প্রভাব পড়বে না।