প্রতি ডজন ডিম ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সায় মিলবে আজ বৃহস্পিতবার থেকে। এ জন্য আগামী ১৫ দিন রাজধানীর দুই আড়তে ২০ লাখ করে ডিম দেবেন উৎপাদকেরা। মধ্যরাতে কাপ্তান বাজারে উৎপাদকের কাছ থেকে আড়ৎ, এরপর খুচরা পর্যায়ে বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন হয়। এ সময় বাজার নিয়ন্ত্রণ ও মধ্যস্বত্বভোগী মুক্ত করতে কড়া মনিটরিংয়ের বার্তাও দেওয়া হয়েছে।
শাক-সবজি থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যের দামে যখন ঊর্ধ্বগতি, তখন সহজলভ্য আমিষের উৎস ডিম নিয়েও সংকটে নগরবাসী। এর কারণ সরবরাহ সংকট না সিন্ডিকেট সে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ডিমের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে খামারিদের কাছ থেকে আড়ৎ এরপর খুচরা পর্যায়ে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. রেয়াজুল হক বলেন, ‘বাজারে যেহেতু বন্যা ও সরবরাহ কম থাকার কারণে সবজি তেমন পাওয়া যাচ্ছে না, ডিমের ওপর বাড়তি চাপ পড়েছে। এই সময় দামের তারতম্যের সুযোগটাই অনেকে নিতে চাইছে। অনেক হাত বদল হয়ে ডিম ক্রেতা অবধি পৌঁছানোয় দাম যেন বেশি বেড়ে না যায়, উৎপাদকের কাছ থেকে সরাসরি আড়ৎদারের কাছে আমরা ইন্টারভেনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, আড়তে প্রতিটি ডিমের দাম ধরা হয়েছে ১০ টাকা ৯১ পয়সা। ভোক্তা পর্যায়ে তা বিক্রি হবে ১২ টাকায়। থাকবে না কোনো মধ্যস্বত্বভোগী।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, ‘যেহেতু আমাদের দেশে এখনও ভোক্তাবান্ধব পরিবেশ গড়ে ওঠেনি, ইন্টারভেনশনের সিদ্ধান্তটা জরুরি ছিল। এটি মনিটরিংয়ের ব্যাপারেও আমরা সচেষ্ট থাকব।’
এদিকে ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, বাজার স্বাভাবিক রাখতে আগামী ১৫ দিন কাপ্তান বাজারে ১০ লাখ এবং তেজগাঁও আড়তে দেওয়া হবে ১০ লাখ করে ডিম।
উৎপাদন পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম ১০ টাকা ৫৮ পয়সা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। আর পাইকারিতে তা ১১ টাকা ১ পয়সা এবং খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। সেই হিসাবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা পড়বে প্রতি ডজন।