ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

চাল ও গম নিয়ে আরও ৭ জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে

অর্থনীতি

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:১৯, ১১ নভেম্বর ২০২২

সর্বশেষ

চাল ও গম নিয়ে আরও ৭ জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে

অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১ লাখ ৬১ হাজার মেট্রিক টন চাল ও গম নিয়ে সাতটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে।

সাতটি জাহাজের মধ্যে চালবাহী জাহাজ রয়েছে পাঁচটি। আর দুটি জাহাজে রয়েছে গম। পাঁচটি জাহাজে চাল রয়েছে ৬১ হাজার ৫০ দশমিক ৯০০ মেট্রিক টন। আর দুটি জাহাজে গম রয়েছে ১ লাখ ৫৭৫ মেট্রিক টন। এসব জাহাজের মধ্যে তিনটিতে এখন খালাস শুরু হয়েছে। আর চারটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থান করছে। গম আমদানি করা হয়েছে রাশিয়া থেকে। চাল আমদানি হয়েছে ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকে। চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগের অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত মাসের শেষদিকে দেশের চাল ও গমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আরও ছয়টি জাহাজে ১ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়। অন্যদিকে এত বিপুল পরিমাণ চাল ও গম আমদানির উদ্যোগের পরও বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। গম ও চালের বাজার এখনো অস্থির। দাম এক দফা কমে তো দুই দফা বাড়ে। এভাবেই দীর্ঘদিন বাজার অস্থিরতায় রয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগেও সামান্য কমেছিল চালের দাম। তবে কয়েকদিন ধরে আবার চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। নতুন করে সব ধরনের চালের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগের অফিস সূত্রে জানা যায়, দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে এবং চাল ও গমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার চাল ও গম আমদানি করছে। চলতি মাসে আরও কয়েকটি জাহাজ চাল ও গম নিয়ে আসার কথা রয়েছে। বুধবার ‘এমভি ভারুডা’ ও ‘এমভি ম্যাগনাম ফরচুন’ নামের দুটি জাহাজ গম নিয়ে রাশিয়া থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। ‘এমভি ভারুডা’ জাহাজে গম রয়েছে ৪৯ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। আর ‘এমভি ম্যাগনাম ফরচুন’ জাহাজে গম রয়েছে ৫১ হাজার ১৭৫ মেট্রিক টন। দুই জাহাজে মোট গম রয়েছে ১ লাখ ৫৭৫ মেট্রিক টন। বুধবার এমভি ভারুডা থেকে গমের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জাহাজ থেকে আমদানি করা গমের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। বুধবার ‘এমভি ম্যাগনাম ফরচুন’ থেকেও নমুনা সংগ্রহ করতে বহির্নোঙরে যান। খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার বহির্নোঙরে অবস্থান করছিলেন। জাহাজ থেকে আমদানি করা গমের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাব পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। নমুনা পরীক্ষায় এসব গম খাওয়ার উপযোগী পাওয়া গেলে খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে।

২ নভেম্বর ভিয়েতনাম থেকে ‘এমভি বিএমসি ক্যাথরিন’ নামে একটি জাহাজ ২১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে চট্টগ্রামে বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। নমুনা সংগ্রহের পর ৯ নভেম্বর থেকে খালাস শুরু হয়। অবশিষ্ট রয়েছে ১৯ হাজার ৪৭১ মেট্রিক টন চাল খালাস। ১ হাজার ৭২৯ মেট্রিক টন চাল বিভিন্ন সিএসডি ও এলএসডিতে পাঠানো হয়েছে। ৪ নভেম্বর ভিয়েতনাম থেকে ‘এমভি ডিএমসি জুপিটার’ নামে একটি জাহাজ ২২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল নিয়ে বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। বুধবার ‘এমভি ডিএমসি জুপিটার’ নামের জাহাজটি খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ কর্মকর্তারা নমুনা সংগ্রহ করেন। নমুনা পরীক্ষায় এসব চাল খাওয়ার উপযোগী পাওয়া গেলে খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে।

৫ নভেম্বর মিয়ানমার থেকে ‘এমভি ব্লু লোটাস’ জাহাজ ১২ হাজার ৫০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। নমুনা সংগ্রহের পর ৯ নভেম্বর থেকে খালাস শুরু হয়। অবশিষ্ট রয়েছে ১০ হাজার ৪৫৬ মেট্রিক টন চাল খালাস। ১ হাজার ৫৯৪ মেট্রিক টন চাল বিভিন্ন সিএসডি ও এলএসডিতে পাঠানো হয়েছে। ৬ নভেম্বর মিয়ানমার থেকে ‘এমভি এমসিএল-১৮’ নামে একটি জাহাজ ২ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে চট্টগ্রামে বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। বুধবার ‘এমভি এমসিএল-১৮’ থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ কর্মকর্তারা নমুনা সংগ্রহ করেন। নমুনা পরীক্ষায় এসব চাল খাওয়ার উপযোগী পাওয়া গেলে খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে।

৯ নভেম্বর মিয়ানমার থেকে ‘এমভি এমসিএল-৭’ জাহাজ ২ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন আতপ চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। বৃহস্পতিবার ‘এমভি এমসিএল-৭’ থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ কর্মকর্তারা নমুনা সংগ্রহ করেন। নমুনা পরীক্ষায় এসব চাল খাওয়ার উপযোগী হলে খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে।

গত মাসের শেষদিকে দেশের চাল ও গমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আরও ছয়টি জাহাজে ১ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়। ছয়টি জাহাজের মধ্যে দুটি জাহাজে গম ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৮৪৫ টন। আর চারটি জাহাজে আতপ ও সিদ্ধ চাল ছিল ৭৯ হাজার ৫৭৩ দশমিক ৪০০ টন। গম আমদানি করা হয়েছে রাশিয়া থেকে। চাল আমদানি হয়েছে ভারত, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকে।

চট্টগ্রাম চলাচল ও সংরক্ষণ কার্যালয়ের উপনিয়ন্ত্রক সুনীল দত্ত জানান, চাল ও গমবাহী সাতটি জাহাজ বন্দরে রয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১ লাখ ৬১ হাজার ৬২৫ দশমিক ৯০০ মেট্রিক টন চাল ও গম নিয়ে সাতটি জাহাজ বন্দরে পৌঁছেছে। সাতটি জাহাজের মধ্যে চালবাহী জাহাজ রয়েছে পাঁচটি। আর দুটি জাহাজে রয়েছে গম। পাঁচটি জাহাজে চাল রয়েছে ৬১ হাজার ৫০ দশমিক ৯০০ মেট্রিক টন। আর দুটি জাহাজে গম রয়েছে ১ লাখ ৫৭৫ মেট্রিক টন।

জনপ্রিয়