সরকারি স্কুলের ভর্তিতে ২ শতাংশ কোটা সুবিধা পাবেন শিক্ষার দপ্তর-সংস্থার কর্মীদের সন্তানরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ও অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থায় কর্মরত-কর্মচারীদের সন্তানদের মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নূন্যতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। আগে এ সুবিধা শুধু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের দেয়া হলেও এবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, এনটিআরসিএ, শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মচারীদের সন্তানরা এ সুবিধা পাবেন। তবে, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ ও এর অধীনস্থ দপ্তর সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানরা এ কোটা সুবিধা পাবেন না।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে সরকারি স্কুলে ভর্তি নীতিমালায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ও অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষ্য ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে লটারি অনুষ্ঠিত হবে। আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর দপ্তর প্রধানের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজেস্ব দপ্তরের প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তার একধাপ ওপরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে।
এদিকে সরকারি স্কুলে ভর্তিতে শিক্ষার দপ্তর-সংস্থার কর্মীদের সন্তানদের জন্য কোটা সংরক্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করা হলেও মঙ্গলবার ভর্তির আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, প্রত্যয়ন সংগ্রহ করে তাদের সন্তানরা ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পাবেন না। এজন্য তারা ভর্তির আবেদনের সময় বাড়াতে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ বিষয়ে আমাদের বার্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
জানা গেছে, এর আগে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের ভর্তির জন্য সরকারি স্কুলে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত ছিলো। কিন্তু চলতি বছর শুধু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ও এর অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। নীতিমালা কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ ও অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য কোটা সংরক্ষণের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
এছাড়া নীতিমালা ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি স্কুলগুলোতে ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য সরকারি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির মোট আসনের ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। আর বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের ২ শতাংশ কোটায় সংরক্ষিত থাকবে বলেও নীতিমালায় জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।