ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটসহ জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে সরকারি ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এসব প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
রোববার (৩ নবেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি’ রাখা হয়েছে। ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে গোপালগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজকে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ নামকরণ করা হয়েছে।
ঢাকার শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট, গোপালগঞ্জের শেখ লুৎফর রহমান ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে গোপালগঞ্জ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল, গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে গোপালগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, গোপালগঞ্জের শেখ সায়রা খাতুন ট্রমা সেন্টারের নাম গোপালগঞ্জ ট্রমা সেন্টার, সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে জামালপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নামে পরিবর্তন করা হয়েছে।
এছাড়াও খুলনা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালকে খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদির বঙ্গবন্ধু (দলদিয়া) ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রকে দলদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে মানিকগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও দিনাজপুরের এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নামকরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার আরেকটি প্রজ্ঞাপনে সরকারি ৬ মেডিক্যাল কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয় এবং সেসব প্রতিষ্ঠানের নাম থেকে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নাম বাদ দেয়া হয়।