বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গানে গেয়ে অর্থ সংগ্রহ করছেন লোকশিল্পী কুদ্দুস বয়াতী। শুক্রবার শিষ্যদের নিয়ে কেন্দুয়া উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ অর্থ সংগ্রহ করেন তিনি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কেন্দুয়া ও মদন পার্শ্ববর্তী মদন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গান গেয়ে অর্থ সংগ্রহের কাজ শুরু করেন এ শিল্পী।
এ সময় কুদ্দুস বয়াতীর সঙ্গে ছিলেন লোকশিল্পী আবুল বাসার তালুকদার, বাউল শিল্পী মুকুল সরকার সহ তার শিষ্য ফকির মুখলেছ, ফেরদৌস বয়াতী, অলি বয়াতী, সবুজ বয়াতী, জসিম বয়াতী, আশিক বয়াতী সহ অন্যান্যরা। বন্যার্তদের সহায়তায় গানে গানে অর্থ সংগ্রহের এ কাজ আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
এদিকে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে লোকশিল্পীদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজনও। কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের আনিসুজ্জামান সোহাগ বলেন, বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বেশ কিছুদিন যাবত এলাকার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে অর্থ সংগ্রহ চলছে। তবে শিল্পীদের গানে গানে বন্যার্ত মানুষের জন্য টাকা সংগ্রহের উদ্যোগটিও চমৎকার। আমি এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
কুদ্দুস বয়াতীর শিষ্য আশিক বয়াতী বলেন, আমার ওস্তাদ দেশ বিদেশে একজন জনপ্রিয় লোকশিল্পী। বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে অর্থ সংগ্রহের কাজে তিনি আমাদের যুক্ত করায় আমরা চিরকৃতজ্ঞ। এমন একটি মহৎ কাজে থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
আরেক শিষ্য অলি বয়াতী বলেন, আমার ওস্তাদ কুদ্দুস বয়াতী শুধু একজন গুণী শিল্পীই নন, তিনি একজন ভালো মনের মানুষও। দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে তিনি চুপ করে বসে থাকতে পারেন না। আর তাই বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে তিনি আমাদের মতো শিষ্যদের নিয়ে গানে গানে তাদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন।
এ বিষয়ে কুদ্দুস বয়াতী বলেন, দেশে যে বন্যা মহামারি চলছে এতে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী, বাড়ি ছাড়া। বন্যার পানিতে তাদের সবকিছু ভেসে গেছে। আমি এই দেশেরই একজন মানুষ। আমিও মাঠে সক্রিয় আছি। বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমি আমার নিজ এলাকা ঘুরে গানে গানে অর্থ সংগ্রহ করছি। এ অর্থ নিয়ে আমিও বানভাসিদের পাশে দাঁড়াতে চাই।