‘একটি অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের সঙ্গে নায়িকা মৌসুমীর একটি ছবি রয়েছে। সেই ছবিটিই পরবর্তীতে মৌসুমীর জন্যে কাল হয়ে দাঁড়ায়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ওই ছবিটির কারণে মৌসুমীকে একাধিকবার রোষানলে পড়তে হয়েছে।’ এমনটাই জানালেন মৌসুমীর স্বামী ও চিত্রনায়ক ওমর সানী।
আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এফডিসির প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতিতে নতুন সেন্সর বোর্ড গঠিত হলে সেটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে ওমর সানী বলেন, ‘ওই ছবিতে এক পাশে ববিতা ছিলেন, এক পাশে মান্নাও ছিলেন। সেখানে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী কবুতর উড়িয়ে দিচ্ছিলেন। মৌসুমীও সেখানে ছিলেন।’
‘বেনজির তখন র্যাবের প্রধান ছিলেন। নারায়ণগঞ্জে দেখা হলে একদিন তিনি বলেছিলেন– তাদের কাছে নির্দেশ আছে, ছবিটি নাকি বিতর্কিত। আমরা বাজে অবস্থার মধ্যে পড়ে যাবো। তখন আমি সত্যি আমার পরিবার নিয়ে ভীত হয়ে পড়ি। তারপর থেকে আমার পরিবার ও ব্যবসার ওপর অস্বাভাবিকভাবে তারা ক্ষতি করতে মেতেছিলেন। শুধু আমি একা নই, আমার কাছের মানুষগুলোও জানে, কতটা ব্যথিত হয়েছিলাম।’
রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে শিল্পীদের ছবি থাকা প্রসঙ্গে ওমর সানি বলেন, ‘পরিষ্কার করে বলতে চাই– রাষ্ট্র যেখানে অবস্থান করিবে, প্রজারা সেখানে অবস্থান করিতে বাধ্য থাকিবে। শিল্পীদের সঙ্গে যে কারো ছবি থাকতে পারে। একজন চোরের সঙ্গে বা ব্রোথেল গার্ডের সঙ্গেও ছবি থাকতে পারে। তবে হ্যাঁ, এটা সত্য যে মৌসুমী নমিনেশন (সংরক্ষিত মহিলা আসন, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের নির্বাচন) চেয়েছিল। কেন চেয়েছিল, সেটা জাহির করতে আসিনি। মৌসুমী রাজনীতিতে জড়াবেন না বলে একটা সময় আমেরিকা চলে যায়।’
এফডিসির শিল্পী সমিতির গুটিকয়েক নেতাদের ‘কুলাঙ্গার’ উল্লেখ করে ওমর সানী বলেন, ‘সেই কুলাঙ্গারদের কারণে প্রথমবার নির্বাচন করতে এসে দেখি, তারা শাকিব খানের সঙ্গে কী করেছিল। শাকিব কেস করেছিল। এই কুলাঙ্গারদের কারণে শাকিব সেই মামলা আগাতে পারেনি। যারা এসবে প্রভাব খাটিয়েছিল, এখন অনেকে কারাবন্দি।’
যোগ্য শিল্পীদের একুশে পদক না পাওয়া প্রসঙ্গে সানী বলেন– ‘শবনম, শাবানা, ববিতাদের মতো কিংবদন্তি যারা আছেন, তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তারা এক জীবনের পুরোটা এই অঙ্গনে দিয়ে গেছেন। রাষ্ট্রের উচিত তাদের একুশে পদক পুরস্কার দিয়ে সম্মান জানানো।’