ঠাকুরগাঁওয়ে আয়োজিত জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ ঘিরে ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। তবে ঘটনাটিকে অনাকাঙ্খিত বলে উল্লেখ করেছেন অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ও পরিচালক হানিফ সংকেত।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এখানে কেউই মারামারি করতে আসেনি, হামলাও করতে আসেনি। দর্শকের কোনো অপরাধ আমি বলব না। কেউ যদি আমাকে ভালেবাসে, তা তো অন্যায় নয়। সেই ভালোবাসা থেকে তারা এসেছে। এরপর বসতে না পারায়, অনুষ্ঠান দেখতে না পারায়, তাদের খারাপ লেগেছে। যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল, তা এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে থেমে গেছে। আমরাও চমৎকারভাবে অনুষ্ঠান শেষ করেছি।’
আরো পড়ুন: হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানে হট্ট*গোল-ভা*ঙচুর
বিষয়টি নিয়ে ইত্যাদির উপস্থাপক ও পরিচালক হানিফ সংকেত বলেন, ‘মঞ্চে এসে শুনলাম, চারদিক থেকে তিন কিলোমিটারের মতো রাস্তা প্যাকড। পাঁচ লাখের অধিক লোক। এত মানুষকে আমি কোথায় বসতে দেব। লোকজন করল কি, বাঁশের ব্যারিকেড ছিল, তা ভেঙে ঝাঁপিয়ে পড়ল। তখন তো ম্যাসাকার অবস্থা। ওখানে নারী আছেন, শিশু আছে, আছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এরপর হাউকাউ শুরু হয়ে গেল। পুলিশ থামানোর চেষ্টা করছে, আমিও করছি। অস্থির অবস্থা। কেউ চেয়ার-ছোড়াছুড়ি করছে।’
হানিফ সংকেত বলেন, ‘আমি তখন প্রশাসনকে ডেকে বললাম, ‘এভাবে অনুষ্ঠান করা যাবে না। মানুষ শান্ত হোক, তারপর অনুষ্ঠান শুরু করব। আপাতত আমরা অনুষ্ঠান কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখি। আমরাও অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণ বন্ধ করে দিয়ে লাইট বন্ধ করে দিলাম। জানিয়ে দিলাম, অনুষ্ঠান আপাতত হচ্ছে না। আপনারা শান্ত হন। লোক যেতে তিন ঘণ্টা লেগে গেল। আসলে সেখানে সমস্যাটা হয়েছে কি, আমরা পরিস্থিতির শিকার হয়ে গেছি। আমরাও বুঝিনি যে এত লোক হবে। কর্তৃপক্ষও বোঝেনি। আমাদের জায়গাটা আসলে আরও বড় হওয়া উচিত ছিল।’
তবে এ ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচক খবর ও গুজবে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন হানিফ সংকেত। তিনি বলেন, ‘আমার খুব খারাপ লেগেছে, আমাদের সো কলড কিছু মিডিয়া ইউটিউব, ফেসবুকে এবং প্রথম সারির কয়েকটি মিডিয়া এমনভাবে খবর প্রকাশ করেছে, মনে হয়েছে এখানে হামলা হয়েছে, মারামারি হয়েছে। কিন্তু কোনো মারামারি হয়নি। আমার কাছে ন্যুইসেন্স মনে হয়নি। হুলুস্থুল হয়েছে, হুড়োহুড়ি হয়েছে, বিশৃঙ্খলা হয়েছে।’
হানিফ সংকেত জানান, এর আগে ময়মনসিংহের ত্রিশাল, তেঁতুলিয়াসহ কয়েকটি জায়গায় অতিরিক্ত লোকসমাগমের জন্য ইত্যাদির শুটিংয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে এবারের মতো কোনোবারই শুটিং বন্ধ রাখতে হয়নি।