ঢাকা শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

প্রকট রাজনৈতিক বৈরিতা নিয়ে এগোনো কঠিন: সিইসি

জাতীয়

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ০০:২০, ৩ জুন ২০২৪

আপডেট: ১৭:৫১, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

প্রকট রাজনৈতিক বৈরিতা নিয়ে এগোনো কঠিন: সিইসি

দেশে ‘প্রকট’ রাজনৈতিক বৈরিতা বিরাজমান মন্তব্য করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, এ বৈরিতা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া কমিশনের জন্য ‘কঠিন হয়ে দাঁড়াবে’। তাই সব ধরনের তিক্ততা পরিহার করে রাজনৈতিক দলেগুলোার আলোচনার টেবিলে বসা উচিত।  

গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিইসি। এর আগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করে।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনও কোনো আলাপ আলোচনা আমি দেখছি না। তাদের মধ্যে বৈরিরা অত্যন্ত প্রকট। এ পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের ভূমিকা পালন করতে হবে। 

সিইসি বলেন, টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ও তার কয়েকজন সহকর্মী এসেছিলেন। আমরা পুরো কমিশন তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। আমরাই মূলত তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তার কারণটা হলো প্রায়ই আমাদের যোগাযোগ হচ্ছিলো। তাই আমরা নির্বাচনের পরে আরো বড় পরিসরে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলাম। টিআইবির মূল দাবিটা ছিলো দ্রুত যেনো হলফনামার তথ্যটা দেয়া হয়। উনারা তথ্যের অবাধ প্রবাহ চাচ্ছেন৷ যে কোনো তথ্য যেনো ইসি ওয়েব সাইটে তুলে দিই।

তিনি বলেন, হলফনামায় কে কী সম্পত্তির বিবরণ দিলো, সেটা আমাদের কাছে থাকবে, বা আপলোড করে দিচ্ছি। যে কেউ তথ্য নিতে পারেন, দুদক নিতে পারে, আমরা সহযোগিতা করবো। তবে আমাদের বলা হয়নি তাদের স্টেটমেন্ট বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ নিতে, কোনো কর্তৃত্ব বা দায়িত্ব আমাদের দেয়া হয়নি।

সিইসি বলেন, ইসির অনন্ত সক্ষমতা রয়েছে এমন নয়। ইসি একা কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের সদিচ্ছার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা দরকার।

টিআইবির সঙ্গে 'টোটাল' নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, তারা বলেছে, নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হয়নি। তবে ফেয়ার হয়েছে। একটা দক্ষতার অভাব রয়েছে। সেটা উনারা জোর দিয়ে বলেছেন। আমরা বলেছি, আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ করা। আমরা বলেছি, সমস্যা অনেকটাই রাজনৈতিক। রাজনৈতিক সমস্যা নিরসন না হলে, নির্বাচন ব্যবস্থাটা আরো স্টেবল হবে না৷ পলিটিক্যাল আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা হয়ে গেলে নির্বাচনটা আরো সুন্দর হতে পারে।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে তারা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়, এটা আমরাও চাই। আমাদের কাজের পদ্ধতি এবং ক্ষমতার পার্থক্য থাকলেও গণতন্ত্রের প্রশ্নে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একই।

নির্বাচনী ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর সুপারিশ করার কথা জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, বিশেষত সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব প্রণয়নের। ইসিও আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। তারা পরামর্শ দিয়েছে এটির আরও চাহিদা সৃষ্টি করা দরকার।
 

জনপ্রিয়