শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাত বা সংঘর্ষ হয় এমন কোনো পরিস্থিতিতে যাবে না আওয়ামী লীগ। শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, রোববার ঢাকাসহ সব মহানগর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতাকর্মীদের জমায়েত করবে আওয়ামী লীগ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রোববার ঢাকা সিটির সব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জমায়েত, বাংলাদেশের সকল জেলা ও মহানগরে কর্মী জমায়েত কর্মসূচি এবং ৫ আগস্ট রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউশন থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি ৩২ এ বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ শোক মিছিল করবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিভেদ নয়, ঐক্যে বিশ্বাসী আমরা । যারা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, প্রগতিতে বিশ্বাস করেন তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চাই। সাধারণ শিক্ষাথীদের জিম্মি করে দেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন, অর্জনকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাদের প্রতিহত করতে গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী সকলের সম্মিলিত প্রয়াস আহবান করছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার। এ দেশের মানুষের ভোট ভাতের অধিকার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারই ফিরিয়ে এনেছে। আজ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের অপচেষ্টা চালাচ্ছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত। তারা জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত ও ব্যর্থ। তারা যেকোনো আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপ দেওয়ার চেষ্টায় উন্মক্ত থাকে। এখন কোটা আন্দোলনে ভর করে সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনার সরকার ধৈর্য ও সংযমের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সবাই জানে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সম্পর্ক কতটা নিবিড়। তারা লাশের রাজনীতি করছে। নাশকতা ও উস্কানি দিয়ে সহিংসতা করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করছে। গতকাল (শুক্রবার) দুটি তাজা প্রাণ ঝরে গেল। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাঙচুর অগ্নিসন্ত্রাস করেছে।
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের কাছে জানতে চাই, পুলিশ সদস্যকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার দায় কার? কারা হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করল? আমরা নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসব সহিংস আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নয়। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের কোটার দাবি মেনে নিয়েছেন। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচারে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশন ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘসহ বিশ্বের যারা এ তদন্ত কাজে অংশ নিতে চায় তাদের জন্য দরজা খোলা এ কথা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে এখানে জাতিসংঘ যদি যুক্ত হয় তাতে সরকারের আপত্তি নেই।’