ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর ৫০ বছরের চরিত্র রাতারাতি পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর এক হোটেলে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত ‘বাংলাদেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ’ বিষয়ে এক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, বাংলাদেশে গত ৫০ বছরের ইতিহাসে আমরা দেখেছি, এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর যারাই লঙ্কায় গিয়েছে তারাই রাবণের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এখন ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর ৫০ বছরের চরিত্র রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে যাবে, এমনটা ভাবার অবকাশ নেই। পরিবর্তনের জন্য বড় সময় প্রয়োজন।
নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, সাত শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি নিয়ে সাত সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা যেতে পারে। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, সাংবাদিক, সিভিল সোসাইটি, বিশ্ববিদ্যায়ের অধ্যাপক, পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধি থাকতে পারে।এ ছাড়া দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং আনুপাতিক নির্বাচনি ব্যবস্থারও প্রস্তাব করেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি।
সেমিনারে নৌ পরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের মুখ্য পরিচালক আব্দুল আলীম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহকারী সম্পাদক রুমিন ফারহানা, জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণফোরামের একাংশের নেতা সুব্রত চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের আশ্রাফ আলী আকন্দও বক্তব্য রাখেন।