দ্রুত বিচারিক কার্যক্রম শুরু জন্য আগামী সপ্তাহের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানসহ অন্যন্য বিচারক নিয়োগ করে ট্রাব্যুনাল পুনর্গঠন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।
রোববার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য দেন। এসময় তিনি জানান, সম্প্রতি আইন উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে দ্রুত বিচারক নিয়োগের বিষয় তুলে ধরেন তারা।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আন্দলনে হতাহতদের দেখে এসে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, তাজা আলামত সংগ্রহের লক্ষ্যেই তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন টিম হাসপাতালগুলোতে পরিদর্শন করছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ যাদের কাছে যে আলামত আছে, সবাইকে তথ্যগুলো প্রসিকিউশনে দ্রুত জমা দেওয়ার জন্য আহবান জানান।
এসময় তিনি আরো জানান, সামরিক বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে যে বুলেট ব্যবহার করে এমন একটি গুলি সিএমএইচে অপারেশন করে আহত একজনের শরীর থেকে বের করা হয়েছে। এগুলো আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হচ্ছে। আন্দোলনে পুলিশের কাছেও চাইনিজ রাইফেল ছিল যা থেকে গুলি করা হয়েছে। কেবল বিচারক নয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় আরও তদন্তকারী কর্মকর্তা দরকার। প্রসিকিউশনে আরো আইনজীবীর প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর।
এরআগে গত ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামসহ প্রসিকিউটর পদে আরো চারজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা ভোগ করবেন। তাজুল ইসলাম ছাড়াও ট্রাইব্যুনালে আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তারা হলেন: মিজানুল ইসলাম (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদা), গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল), বি এম সুলতান মাহমুদ (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল), আব্দুল্লাহ আল নোমান (সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল)। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। এর আগে গত ১৩ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরসহ ১১ জন প্রসিকিটর পদত্যাগ করেন। পদত্যাগকারীরা হলেন- মুকলেসুর রহমান বাদল, রানা দাশগুপ্ত, আলতাফ উদ্দিন আহম্মেদ,সুলতান মাহমুদ, শাহিদুর রহমান, আবুল কালাম, মো: জাহিদ ইমাম, রেজিয়া সুলতানা বেগম, শেখ মুশফিক কবির ও তাপস কান্তি মজুমদার।