‘প্রশাসনে এখনও আওয়ামী লীগের দোসররা বহাল তবিয়তে কাজ করছে বলেই দেশে নতুন করে শুরু হয়েছে ষড়যন্ত্র ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড। এসব আওয়ামী দোসরদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে এর দায় পড়বে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর দুঃশাসন থেকে মুক্ত হয়ে জনজীবনে যে স্বস্তির বাতাস বইছে, সেটিকে নিমূর্ল করতেই এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনা ঘটানো হচ্ছে যা খুবই উদ্বেগজনক।’ বুধবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দেশে গুমের শিকার পরিবারগুলোর গড়ে তোলা সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি ও বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের ভাই সাইফুল ইসলাম শ্যামলকে ৩০ সেপ্টেম্বর তাদের শাহীনবাগের বাড়ি থেকে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অশালীন আচরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রায় এক যুগ আগে গুম হয়েছেন বিএনপি নেতা সাজেদুল হক সুমন। গুম হওয়ার পর সাজেদুল হক সুমনের পরিবার মানসিকভাবে বিপদগ্রস্ত ও আতঙ্কগ্রস্ত। ছেলে সুমনের জন্য তার মা কাঁদতে কাঁদতে প্রায় অন্ধ হয়ে গেছেন। গুম হওয়ার এত বছর পর আবারও সেনাবাহিনীর পরিচয়ে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাজেদুল হক সুমনের ভাই সাইফুল ইসলাম শ্যামলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পরিবারটি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশ আওয়ামী সরকারের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তি পেলেও সানজিদা ইসলাম তুলির ভাই সাইফুল ইসলাম শ্যামলকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দেশবাসী শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এই পরিবারটিকে হয়রানি করা বিপদগ্রস্ত একটি পরিবারের সঙ্গে রসিকতা। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে দায়ের করা মামলায় নির্যাতিত সাইফুল ইসলাম শ্যামল। তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না হলেও কোন অপরাধে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো তা আমাদের বোধগম্য নয়।
মির্জা ফখরুল আশা প্রকাশ করে বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার সঙ্গে জড়িত কুচক্রী মহলের অপতৎপরতা বন্ধ করতে অন্তর্বর্তী সরকার জোরালো ভূমিকা পালন করবে। গুমের শিকার পরিবারগুলোর গড়ে তোলা সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলির পরিবারের সঙ্গে ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের বিরুদ্ধে নিন্দা, প্রতিবাদসহ এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য জোরালো আহ্বান জানান তিনি।