ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে উত্তরা পূর্ব থানার হত্যা চেষ্টা মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজজামান এ আদেশ দেন।
আজ বিকেলে শমী কায়সারকে আদালতে হাজির করে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার এসআই মৃত্যুঞ্জয় পণ্ডিত মিঠুন ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শমী কায়সারের পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত ৩ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম ও পূর্ব থানা পুলিশ।
গত ২৯ অক্টোবর ইশতিয়াক মাহমুদ নামের একজন ভুক্তভোগী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছিলেন। এই মামলায় শমী কায়সারকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেই ধারাবাহিকতায় গ্রেফতার হন শমী কায়সার।
শমী কায়সার আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন। পাশাপাশি দেশের ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি ছিলেন। গত ১৪ আগস্ট ই-ক্যাব থেকে পদত্যাগ করেন শমী কায়সার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছিলেন শমী কায়সার। তাছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর মাগুরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির। আদালত মামলাটি ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
শমী কায়সারের বিরুদ্ধে সৈয়দ হাসান মাহমুদ নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা রয়েছে। ভুক্তভোগী নিজেই গত ৯ অক্টোবর এই মামলা করেন। মামলায় শমী কায়সার ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেত্রী তারানা হালিম, কণ্ঠশিল্পী মমতাজসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।