গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বিগত ১৬ বছর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নির্লজ্জ দলীয়করণের ফলে প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছিলো। এই সব প্রতিষ্ঠান সংস্কার ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারকে সহযোগিতা করা সব রাজনৈতিক দল ও দেশের জনগণের নৈতিক দায়িত্ব। যাতে সংস্কার সুষ্ঠুভাবে করতে সক্ষম হয়। এক্ষেত্রে যে জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি হয়েছে তা ধরে রাখা প্রয়োজন।
এজন্য গণতন্ত্রমনা সব রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও নাগরিক সমাজের মধ্যে সংলাপ জরুরি বলে আমি মনে করেন তিনি।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে গণফোরামের সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ড. কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান দলটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।
গণফোরামের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে ড. কামাল হোসেন বলেন, আজকের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে ঐক্যকে আরো সুসংহত করবেন। সেই ঐক্যের মধ্য দিয়েই যা কিছু অর্জন আমরা করতে পারি। এই ঐক্য না হওয়াটাই অতীতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এইবার যে ঐক্য গড়ে উঠেছে সেটাকে সুসংহত করে ঘোষিত লক্ষগুলো আমরা যেনো অর্জন করতে পারি।
গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে গণফোরাম ইমেরিটাস সভাপতি বলেন, দেশের জনগণ স্বপ্ন দেখেছেন এক স্বাধীন ও নতুন বাংলাদেশের। এই অর্জন সাফল্যের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। আমি আশা করি গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারসহ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে নেতাকর্মীরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
তিনি আরো বলেন, গণফোরাম জন্মলগ্নে বিরাজমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিলো। তা ৩১ বছর পর আরও তীব্র সংকট রূপে আবির্ভূত হয়েছে। গণতন্ত্রহীনতা ও স্বৈরাচারের কবলে পরে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ অবাধে লুটপাট, দুর্নীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে দেশ শাসনের ফলে সর্বত্র ভয়াবহ সংকট ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়। এর ফলশ্রুতিতে ছাত্র-জনতার এক অবিস্মরণীয় গণজাগরণের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।