ঢাকা রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ , ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

চুরির পরিকল্পনায় প্রবাসী চিকিৎসক খু*ন, গ্রেফতার ৩

জাতীয়

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৪৬, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৫:৪৬, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

চুরির পরিকল্পনায় প্রবাসী চিকিৎসক খু*ন, গ্রেফতার ৩

রাজধানীর হাজারীবাগের নিজ বাসায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক ডা. এ কে এম আব্দুর রশিদ হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত ২৪ নভেম্বর রাতে এই হত্যাকাণ্ডে করা মামলাটি তদন্তের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে খুলনার ডুমুরিয়া ও রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- মো. নাইম খান (২২), মো. জাহিদুর রহমান রিফাত (২০) ও মো. আবু তাহের শিকদার ওরফে শাওন (২২)।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গ্রেফতার নাইম ও রিফাত ওই বাসার সাবেক ভাড়াটিয়া, যারা ব্যবসার ‘মূলধন জোগাড়’ এবং ভাড়া নিয়ে মালিকের সঙ্গে ‘মনোমালিন্যের’ জেরে চুরি করতে গিয়ে খুনের ঘটনা ঘটান।

গত ১৪ নভেম্বর রাতে হাজারীবাগের একটি বাসার দ্বিতীয় তলায় অজ্ঞাতনামারা প্রবেশ করলে নামাজরত আব্দুর রশিদের সঙ্গে ‘ধস্তাধস্তি’ হয়। এ সময় তার স্ত্রী সুফিয়া রশিদ পাশের কক্ষ থেকে এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে তার মুখ চেপে ধরা হয়।

একপর্যায়ে চাকু দিয়ে আব্দুর রশিদের বুকে একাধিকবার আঘাত করা হয়। এসময় তার স্ত্রীর চিৎকারে দুর্বৃত্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।

পরে গুরুতর আহত চিকিৎসক আব্দুর রশিদকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।

আব্দুর রশিদ ও সুফিয়া রশিদ দম্পতি পেশায় চিকিৎসক ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী। তারা প্রতি সেপ্টেম্বরে দেশে এসে ধানমন্ডির বাসায় কয়েকমাস থেকে চলে যেতেন। তাদের পরিবারের সবাই প্রবাসী।

এ ঘটনায় ভিকটিমের চাচাতো ভাই মো. রেজাউল করিম ১৫ নভেম্বর হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা করেন।

শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, মামলার তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ, ওই বাসায় মেস হিসেবে বসবাসকারী ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়।

এর প্রেক্ষিতে খুলনার ডুমুরিয়ার শাহপুর বাজার এলাকা থেকে নাইম খান ও জাহিদুর রহমান রিফাতকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মোহাম্মদপুর থেকে আবু তাহের শিকদার ওরফে শাওনকে গ্রেফতার করা হয়। নাইমের তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটিও উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতাররদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, নাইম ও জাহিদুর ওই বাসার একটি ফ্ল্যাটে মেস করে থাকতেন। একমাস আগেই বাসাটি ছাড়েন তারা। বকেয়া ভাড়া নিয়ে ভিকটিমের স্ত্রীর সঙ্গে তাদের মনোমালিন্যের জেরে তারা ক্ষিপ্ত ছিলেন।

এছাড়া নাইম ও জাহিদুর রেস্টুরেন্ট ব্যবসার পরিকল্পনা করে ওই বাসা থেকে টাকা-পয়সা নেয়ার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী তারা শাওনকে সাথে নিয়ে ভিকটিমের বাসার সীমানা প্রাচীর টপকে বাসায় প্রবেশ করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদ আলম বলেন, আব্দুর রশিদ মধ্যরাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার জন্য উঠলে গ্রেফতারদের উপস্থিতি টের পান। পরে তিনি বাধা দিতে গেলে ধস্তাধস্তি হয় ও এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে নিহত হন তিনি।

জনপ্রিয়