দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শ্রীলঙ্কাকে ধার দেয়া অর্থ ফেরত পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গতকাল রোববার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা ধীরে ধীরে ভালো করছে। তারা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।’
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক শ্রীলঙ্কাকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধের জন্য আরও ছয় মাস সময় দিয়েছে। তবে দ্বীপ দেশটি দীর্ঘায়িত অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলো।
বন্ধু প্রতীম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে একটি মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থার অধীনে নগদ অর্থহীন শ্রীলঙ্কায় ঋণ সহায়তা করেছিলো।
পাকিস্তান প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চায় পাকিস্তান। এক্ষেত্রে দেশটিকে একাত্তরে গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটি ক্ষমা চাইলে সম্পর্ক উন্নয়নে ওকালতি করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রীর বক্তব্যে দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর অবস্থান কেমন ছিলো জানতে চান সাংবাদিকরা। মোমেন বলেন, তিনি একটু এড়িয়ে গেছেন। কোনো উত্তর দেননি। তবে উনি বলেছেন, ওনাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আমি বলেছি, আমাদের এখানেও সীমাবদ্ধতা আছে।
তিনি বলেন, সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে তাদের আচরণ খুবই ইতিবাচক। তারা চাচ্ছে, আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক করতে। শুধু আমাদের সঙ্গে নয়, ভারতবর্ষের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে চান তারা।
কোন কোন খাতে পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায়- জানতে চাইলে মোমেন বলেন, তারা ফরেন অফিস কনসালটেন্ট (এফওসি) চাচ্ছে। প্রথমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে চায়। আমরা বলেছি, আপনারা ব্যবসা করছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের ব্যবসাটা একপক্ষীয় হয়ে গেছে। আমি বলেছি, আপনারা অনেক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছেন; এন্টি ডাম্পিং আছে, এগুলো তুলে নেন।