একুশে ফেব্রুয়ারির বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় একটা কিছু করার তাগিদে ওই দিনই সন্ধ্যায় আলাউদ্দিন আল আজাদ, মুস্তফা নূরউল ইসলাম, ফজলে লোহানী, হাসান হাফিজুর রহমান প্রমুখ পাটুয়াটুলির সওগাত অফিসের বিপরীত গলিতে পাইওনিয়ার প্রেসে যান। দুটি টেবিলে বসে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তাঁরা লিখে ফেলেন কয়েকটি প্রবন্ধ, নিবন্ধ। তাৎক্ষণিকভাবে তৈরি হয়ে যায় একুশের বুলেটিন। যার শিরোনাম ছিলো, ‘বিপ্লবের কোদাল দিয়ে আমরা অত্যাচারী, শাসকগোষ্ঠীর কবর রচনা করব।’
ওই বুলেটিনে লিখেছিলেন আলাউদ্দিন আল আজাদ। ছাপানোর দায়িত্ব পালন করেন হাসান হাফিজুর রহমান। পরে লিফলেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি, আমীর আলী (লন্ডনপ্রবাসী) আর একজন আমার সঙ্গে ছিলো। আমরা তিনজন জেলখানার উল্টোদিকে ক্যাপিটাল প্রেসে চলে যাই। সেখানে ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে প্রুফ দেখে লিফলেটটি ছাপিয়ে আনি। প্রেসটি সেদিন আমাদের সর্বাত্মক সহায়তা করে।
রাতেই লিফলেটটি বিশ্ববিদ্যালয় ও পলাশী ব্যারাক এলাকায় বিলি করেন ভাষা আন্দোলনের কয়েকজন কর্মী।