ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের মৃত্যু

বিবিধ

আমাদের বার্তা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:২২, ১৮ জানুয়ারি ২০২৩

সর্বশেষ

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের মৃত্যু

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী জীবিত মানুষ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া লুসিল হান্দোঁ মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকার একটি নার্সিং হোমে ১১৮ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়।

১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে লুসিল হান্দোঁর জন্ম হয়। তিনি সিস্টার আন্দ্রেঁ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। হান্দোঁ যে বছর জন্মগ্রহণ করেন, তখন নিউইয়র্ক সবে তাদের প্রথম সাবওয়ের উদ্বোধন করেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছে আরও এক দশক পরে।


গতকাল লুসিল হান্দোঁ টুলোনে তাঁর নার্সিং হোমে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান। নার্সিং হোমের মুখপাত্র ডেভিড টাভেলা খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

ডেভিড টাভেলা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা...তবে তিনি খুব করে তাঁর প্রয়াত ভাইয়ের কাছে ফিরে যেতে চাইতেন। তিনি মনে করতেন, এতে মুক্তি মিলবে।’

প্রোটেস্ট্যান্ট পরিবারে বেড়ে ওঠা লুসিল হান্দোঁ ছিলেন তিন ভাইয়ের একমাত্র বোন। ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর অ্যালেসে থাকতেন তাঁরা।

১১৬তম জন্মদিনে এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লুসিল হান্দোঁ বলেছিলেন, ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর দুই ভাইয়ের ফিরে আসাটাই তাঁর জীবনের সবচেয়ে প্রিয় স্মৃতি।

হান্দোঁ বলেছিলেন, ‘এটি কোনো পরিবারের জন্য বিরল ঘটনা। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুজনই মারা গেছেন। কিন্তু তা না হয়ে তাঁরা দুজনই বেঁচে ছিলেন। দুজনই ফিরে এসেছেন।’

২৬ বছর বয়সে হান্দোঁ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান হিসেবে দীক্ষা নেন। ৪১ বছর বয়সে তিনি ডটারস অব চ্যারিটিতে সন্ন্যাসী হিসেবে যোগ দেন। তখন থেকে তিনি সিস্টার আন্দ্রেঁ হিসেবে পরিচিতি পান। ফ্রান্সের একটি হাসপাতালে ৩১ বছর সেবা দিয়েছেন তিনি।

পরবর্তী সময়ে ভূমধ্যসাগরের উপকূলসংলগ্ন টুলন এলাকায় চলে যান লুসিল হান্দোঁ। সেখানকার সেন্ট ক্যাথেরিন লেবার নার্সিং হোমে জীবনের শেষ দিনগুলো কাটিয়েছেন তিনি।

অনেক আগেই ইউরোপের সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষের স্বীকৃতি পেয়েছিলেন লুসিল হান্দোঁ। তবে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষের স্বীকৃতি পেয়েছেন গত বছর। 

১১৯ বছর বয়সে জাপানের কানে তানাকার মৃত্যুর পর লুসিল হান্দোঁ এ স্বীকৃতি পান। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিলে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস আনুষ্ঠানিকভাবে হান্দোঁকে জীবিত থাকা সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষের স্বীকৃতি দেয়।

সূত্র : খবর আল–জাজিরা

জনপ্রিয়