বরফ যুগের পর প্রথমবারের মতো পৃথিবীর কাছাকাছি এসেছে বিরল সবুজ ধুমকেতু। কমেট ই-৩ নামক এই ধূমকেতুটি প্রায় ৫০ হাজার বছর পর পৃথিবী থেকে দেখা যাচ্ছে।
এবার পৃথিবী অতিক্রম করে গভীর মহাকাশে ফিরে যাওয়ার পর, বর্তমান পৃথিবীতে বসবাসকারী কোনও ব্যক্তি ধূমকেতুটিকে আর দেখতে পাবে না।
সম্প্রতি ভারতের লাদাখের আকাশে দেখা গেছে এই ধুমকেতু। যা পৃথিবী ও মঙ্গলের কক্ষপথের মাঝে ঘণ্টায় প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার কিলোমিটার বেগে বিচরণ করছে। আজ এবং আগামী কাল এই দুই দিন ধূমকেতুটি ন্যূনতম আলোক দূষণ হয় এমন অঞ্চলগুলিতে খালি চোখে দৃশ্যমান হতে পারে। তবে একে ভালভাবে উপভোগ করার জন্য বিশেষজ্ঞরা এক জোড়া দূরবীন বা একটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।
পৃথিবী থেকে ধূমকেতুটি দেখা গেলেও এটি মূলত প্রায় ২৮ মিলিয়ন মাইল দূরে অবস্থান করছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার পালোমার অবজারভেটরিতে জেডটিএফ টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানী ব্রাইস বলিন এবং ফ্রাঙ্ক মাসি সর্বপ্রথম বিরল এই ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন। এ প্রসঙ্গে ব্রাইস বলিন বলেন, ধূমকেতু শনাক্ত করার জন্য তিনি একটি সিস্টেম সক্রিয় করেছিলেন। যা প্রতি রাতে গভীর মহাকাশের শত শত ছবি নিতে সক্ষম। তবে রাতের আকাশে তিনি এমন কিছু খুঁজে পাবেন যা আগে কখনও কোনও জীবিত মানুষ দেখেনি তা তিনি ভাবতে পারেননি।
তিনি বলেন, ধূমকেতুটির কেন্দ্রে থাকা সবুজ নিউক্লিয়াস ও ঘনিভুত এলাকার কারণে একে সবুজ দেখায়। এটি অনেক ধীর গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে, ফলে লম্বা সময় ধরে দেখা যাবে।
সবুজ রঙের অতিকায় লেজ বিশিষ্ট এই ধূমকেতুটির নিউক্লিয়াসের আয়তন প্রায় ১.৬ কিলোমিটার।