মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দৃঢ়তায় ভারতের সামনে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করাল বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিততে হলে ভারতকে ২৭২ রান করতে হবে।
মাটি কামড়ে ক্রিজে পড়ে থেকে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মেহেদী মিরাজ। যেটি অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল। অসম্ভবকে সম্ভব করে আকাঙিক্ষত সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন।
প্রথম ইনিংসের টার্নিং পয়েন্ট মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মিরাজের ১৪৮ রানের জুটি। ৭ম উইকেট জুটিতে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সংগ্রহ।
খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলে মাহমুদউল্লাহ ৭৭ রানে থামলেও মিরাজ অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যান। শেষ ওভারে একাধিক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি তুলে নেন। শতকের দেখা পেতে ৮৩ বল খরচা করেন এই অলরাউন্ডার।
দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে দুপুরে মাঠে নামে টাইগারা। কিন্তু টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬৯ রানেই ৬ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
এমন পরিস্থিতিতে হাল ধরেন অভিজ্ঞ রিয়াদ। সঙ্গী হিসেবে বেছে নেন আগের ম্যাচের উইনার মিরাজকে।
প্রথমে যেখানে দেড়শ-দুইশ রান তোলাই পর্বতসম মনে হচ্ছিল। সেখানে মাহমুদউল্লাহ-মিরাজের দৃঢ়তায় ২৭১ রানের বড় পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
৮৫ রান নিয়ে শেষ ওভার শুরু করেছিলেন মিরাজ। শার্দুল ঠাকুরের প্রথম বলে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে মারলেন ছক্কা। নাকল বল ছিল, তবে টাইমিং করতে সমস্যা হয়নি কোনো। পরের বলটি ছিল ডট। এরপরের বলে মিরাজ যেন নিজেকেই ছাড়িয়ে গেলেন আরেকবার, বল পাঠালানের মিডউইকেটের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে।
পরের বলে মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে মেরেছিলেন, বাউন্ডারি না হলেও পেয়েছেন ডাবলস। শেষ বলে ৯৯ রানে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিরাজ, শেষ বলে সিঙ্গেল নিলেন, এরপর মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে উদ্যাপন করলেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। উল্লাসে ফেটে পড়ল মিরপুরের গ্যালারি।