বৈশ্বিক জনসংখ্যা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। গত বৃহস্পতিবার ‘দ্য ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টাস-২০২৪’ নামের সেই প্রতিবদেনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা প্রত্যাশার চেয়ে কমার সম্ভাবনা রয়েছে। জাতিসংঘের অনুমান সত্যি হলে পরিবেশের ওপর চাপ কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
প্রতিবেদনে বিশ্বের সম্ভাব্য জনসংখ্যার হিসাবে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে, পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা ২০৮০-এর দশকের মাঝামাঝি শীর্ষে পৌঁছাবে। সে সময় জনসংখ্যা ৮২০ কোটি থেকে বেড়ে ১ হাজার ৩০ কোটিতে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। তারপর ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। বিশ্বে আগামী ৫০ থেকে ৬০ বছর জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে।
আজকে যে শিশুরা জন্মগ্রহণ করেছে, তারা গড়ে ৭৩ দশমিক তিন বছর বাঁচবে, যা ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আট দশমিক চার বছর বেড়েছে। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জাতীয় আদমশুমারির তথ্য, জন্ম ও মৃত্যুর হার এবং অন্যান্য জনসংখ্যাগত সমীক্ষার সমন্বয় করে নিয়মিত বিশ্ব জনসংখ্যার অনুমানিক হিসাব তৈরি করে আসছে। জনমিতি হলো পরিসংখ্যানের এমন একটি অংশ, যা মানুষের জনসংখ্যার নানা পরিবর্তনের বিষয়গুলো তুলে ধরে।
জনমিতি বিষয়ে প্রশিক্ষিত অর্থনীতিবিদ, সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিয়াক বলেছেন, এই গ্রহে মানুষের সংখ্যা গণনা করা একটি অযৌক্তিক বিজ্ঞান। জনসংখ্যা অনুমান করার ক্ষেত্রে আপনি একটি বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন, আর তা হলো এটি নিয়ে অনিশ্চয়তা।
১৪২ কোটিরও বেশি মানুষ অধ্যুষিত ভারতকে গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি পৃথিবীর বৃহত্তম এই বৈশ্বিক সংস্থা বলেছে, আগামী আরও অন্তত ১০০ বছর বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের রেকর্ড ধরে রাখবে দেশটি। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।