শিক্ষক ৩ জন, শিক্ষার্থী ছয় শতাধিক | স্কুল নিউজ

শিক্ষক ৩ জন, শিক্ষার্থী ছয় শতাধিক

মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম।

#শিক্ষার্থী #প্রধান শিক্ষক #সরকারি স্কুল

মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম। এতে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি গুণগত শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা।

সম্প্রতি বিদ্যালয়ে গিয়ে কথা বলে জানা যায়, সেদিন সকালেই তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শারীরিক বিষয়ের শিক্ষক রুপেশ দাশ বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এদিকে চলতি মাসের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ উন্নয়ন ব্যাংকে (বিডিবি) যোগদানের জন্য চলে যাবেন প্রতিষ্ঠানের বর্তমান কৃষি বিষয়ের শিক্ষক তপু বিশ্বাস। এরপর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছাড়া মাত্র দুইজন শিক্ষক থাকবেন ওই বিদ্যালয়ে। পরবর্তী সময়ে তাদেরই চালাতে হবে ওই ৬০০ শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম।

বিদ্যালয়ের এই সংকটকাল নিয়ে উদ্বিগ্ন ওই দুই শিক্ষক– ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক জামাল উদ্দিন এবং সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক এ এইচ এম লিয়াকত। ৯টি পদের মধ্যে শূন্য পদগুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ইসলামিয়াত, শারীরিক শিক্ষা, শূন্য হবে কৃষি শিক্ষা এবং বিএড প্রশিক্ষণে আছেন জীববিজ্ঞানের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম।

প্রধান শিক্ষকের পদ জাতীয়করণের পর থেকেই শূন্য। প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে কর্মরত আছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক ফয়যুল হুসাইন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনেকবারই জানানো হয়েছে।

তাহিরপুর উপজেলা সদরে ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে নিম্ন মাধ্যমিক ও ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে মাধ্যমিক হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পরে ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণ করা হয়।

জাতীয়কণের আগে বিদ্যালয়টিতে ১৩ জন শিক্ষক ও ৫০০ শিক্ষার্থী ছিল। জাতীয়করণের পর থেকেই বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংকট শুরু হয়। জাতীয়করণের তিন যুগ পরও পূরণ হয়নি প্রধান শিক্ষকের পদ।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১২ জন শিক্ষকের পদ রয়েছে। তা ছাড়া বিদ্যালয়ে অনুমোদিত একজন অফিস সহকারী, একজন অফিস সহায়কের পদও শূন্য।

বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শাখার দশম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মুবিন জানায়, গণিত শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগতভাবে বাইরের শিক্ষক বা কলেজ পডুয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গণিত শিখছে। স্কুলে শিক্ষকের কাছ থেকে শিখতে না পারায় অনেকের গণিত ভীতি কাটছে না। পরীক্ষার আগে অনেকের সিলেবাস সম্পন্ন করতেও সমস্যা হচ্ছে।

পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা বলেন, মঙ্গলবার আঞ্চলিক উপপরিচালকের সিলেট দপ্তরে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবীর বলেন, নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়ায় সরকারি স্কুলগুলোতে শিক্ষক পোস্টিং দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

#শিক্ষার্থী #প্রধান শিক্ষক #সরকারি স্কুল