দীর্ঘ পাঁচ বছরের অপেক্ষা শেষে ৪৩তম বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী গত ১৫ জানুয়ারি চাকরিতে যোগ দেন। সে সময় গেজেট-বঞ্চিত ২২৭ জনের জন্য দিনটি ছিল বিষাদের। দেশের ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো এই বিসিএসের গেজেট প্রকাশ করা হয় মে মাসে। তৃতীয় গেজেটে ২২৭ জনের মধ্যে ১৬২ জনের গেজেট হলেও বাদ পড়েন ৬৫ জন।
গেজেটবঞ্চিত ৬৫ প্রার্থী জাতীয় প্রেস ক্লাবে শুক্রবার (২০ জুন) সংবাদ সম্মেলন করে তাদের গেজেটভুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
৪৩তম বিসিএসের পররাষ্ট্র ক্যাডারের প্রার্থী শাওলী পাল টিনা লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রায় ৫ বছর ধরে পর্যায়ক্রমে প্রিলিমিনারি, রিটেন ও ভাইভায় উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশে একজন প্রার্থী বিসিএস ক্যাডার হিসেবে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত হন। পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিজ নিজ ক্যাডারে গেজেটভুক্ত হয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। কিন্তু দীর্ঘ চার মাস কেটে গেলেও যখন গেজেট হয় না, ২২৭ জন তখন বাধ্য হয়ে সচিবালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ও প্রেস ক্লাবে তাদের দাবি জানান।
অবশেষে গত ২০ মে প্রকাশিত সম্পূরক গেজেটে ২২৭ জনের ১৬২ জন গেজেটভুক্ত হন। এবারও বাদ পড়েন ৬৫ জন। সচিব স্যারের ৩ ক্রাইটেরিয়াতে না থাকলেও, এই ৬৫ জনের অনেকে ত্রুটিপূর্ণ ভেরিফিকেশন রিপোর্টের কারণে বাদ পড়েন।
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের পরে যে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের কথা আমরা শুনেছি, তাতে এক বিসিএসে প্রথমে ২২৭, পরে ৬৫ জনকে বাদ রেখে আমরা সেই বাংলাদেশকে দেখতে পাচ্ছি না। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছিলেন, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করা মাত্রই সবার পাসপোর্ট প্রাপ্তির অধিকার জন্মায়। তিনি পাসপোর্ট গ্রহণে পুলিশ ভেরিফিকেশন বন্ধ করেছেন। অথচ একটা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের জন্য কেন এত ধাপে ভেরিফিকেশনে কারও শোনা কথা বা অনুমানের জন্য এতগুলো মানুষ, এতগুলো পরিবার কষ্ট পাবে?