বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রত্যাশা অনুযায়ী না হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে, এদিন দুপুরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে, এবং আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে আরও ২ জন।
গাইবান্ধা জেলার তিনটি ভিন্ন উপজেলায় ফলাফলে অকৃতকার্য হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে তিন ছাত্রীর।
সদর উপজেলার বুড়িখামার গ্রামে তাসলিমা আক্তার দিশা, পলাশবাড়ীর নুরপুরে লাবন্য খাতুন এবং সাদুল্লাপুরে রুম্পা আক্তার—এই তিনজনের মধ্যে দিশা ও লাবন্য মারা গেছেন, তবে রুম্পা আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তাসলিমা গাইবান্ধা এনএইচ মর্ডান স্কুল থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হন। এরপর স্বামীর বাড়িতে সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
লাবন্য পলাশবাড়ী উপজেলার নুরপুর গ্রামের একজন স্কুলশিক্ষকের মেয়ে। ফলাফলে ব্যর্থ হয়ে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
অপরদিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার দক্ষিণ সন্তোলা গ্রামের রুম্পা আক্তার ব্যর্থতার অভিমানে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করার পর আত্মহত্যা করেছেন ফারজানা আক্তার প্রীতি(১৬)।
কক্সবাজারেও প্রিয়তম রুদ্র (১৬) নামের এক কিশোর একই কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের আরডিএ এলাকায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ না পাওয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সুমাইয়া আক্তার (১৭)। সে আরডিএ একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল বারীর মেয়ে।
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে বিষপান করেছে রাব্বি বিশ্বাস (১৭)। সে ওসমানপুর ইউনিয়নের আজইল গ্রামের বাসিন্দা এবং রমানাথপুর কলেজিয়েট স্কুলের মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থী। ইংরেজির দুটি পত্রসহ মোট চারটি বিষয়ে ফেল করায় মানসিক চাপে পড়ে রাব্বি বিষপান করে। পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনাগুলো আমাদের শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ এবং সমাজে পরীক্ষার ফলাফল কেন্দ্রিক চরম প্রত্যাশা ও মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকদের মতে, ফলাফল খারাপ হলেও জীবন থেমে যায় না—এই বার্তাটি শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌঁছানো এখন সময়ের দাবি।শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।