৫৫তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু হচ্ছে বগুড়ায় | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

৫৫তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চালু হচ্ছে বগুড়ায়

বগুড়ার মানুষ শিক্ষিত, সংস্কৃতিমনা এবং বিজ্ঞানমুখী। বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে বগুড়াবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস কোথায় স্থাপিত হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ফলে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমও শুরু করা যায়নি।

#পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় #বগুড়া #বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

অনুমোদনের প্রায় দুই যুগ পর ১৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৮টি বিভাগ নিয়ে দেশের ৫৫তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করবে বলে প্রত্যাশা করেন নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহান। প্রাথমিক পর্যায়ে যদিও বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস কোথায় হবে, সে স্থান এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ফলে সে অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণও শুরু হয়নি। তবে আপাতত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এ বিষয়ে বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বলেন, বগুড়ার মানুষ শিক্ষিত, সংস্কৃতিমনা এবং বিজ্ঞানমুখী। বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে বগুড়াবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস কোথায় স্থাপিত হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ফলে ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমও শুরু করা যায়নি।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আপাতত অস্থায়ী ক্যাম্পাসেই বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হবে। অস্থায়ী অফিস কোথায় নেওয়া যায়, সেটিই ভাবা হচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুত এ কার্যক্রম শুরু করা যাবে।

বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহান জানান, প্রাথমিকভাবে ১৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৮টি বিভাগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হবে। ৮ বিভাগে ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।

২০০১ খ্রিষ্টাব্দে ও ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে মন্ত্রী পরিষদে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বাস্তবায়নের পর সরকার দুই দফায় প্রজ্ঞাপন জারি করলেও দীর্ঘ সময় চিঠি চালাচালির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল সব কার্যক্রম। সর্বশেষ গত ৩ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহানকে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর পরই আলোর মুখ দেখতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এরই মধ্যে নতুন উপাচার্য যোগদানও করেছেন।

জানা গেছে, ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হওয়ার সময় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পাশে জামালপুর মৌজায় স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বগুড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সদর উপজেলার নুরইলের বিল এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়। সে সময় একাধিক মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চূড়ান্ত করতে প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শনও করেছিলেন। তবে এরপর আর কোনো কার্যক্রম এগোয়নি।

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ ড. শওকত আলম মীর বলেন, বগুড়ার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জেলায় এতদিন বিশ্ববিদ্যালয় না থাকাটা লজ্জাজনক। জেলা প্রশাসকের নিরলস প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়।

নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হাসানাত আলী বলেন, এ অর্জন শুধু প্রশাসনিক নয়, এটি একটি সামাজিক বিজয়, একটি জেলার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন।

বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। এখন দ্রুত কার্যক্রম শুরু হলে বগুড়াবাসী ভীষণ আনন্দিত হবে।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় #বগুড়া #বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়