চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও গুজব ঠেকাতে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, ২৫ জুন মধ্যরাত থেকে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিলো। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকার কথা।
এ সিদ্ধান্তে প্রশ্নফাঁস ঠেকানো সম্ভব নয় মনে করেন ৬৪ শতাংশ সাধারণ মানুষ। দেশের শিক্ষাবিষয়ক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপে অংশ নেয়া বাকি ৩৩ শতাংশ মানুষ অবশ্য মনে করেন কোচিং সেন্টার বন্ধ করে প্রশ্নফাঁস ঠেকানো সম্ভব। এ ছাড়া ৩ শতাংশ মানুষ এর পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মতই দেননি।
গত ২৫ জুন বিকেল থেকে শুরু হয়ে ২৭ জুন সকাল পর্যন্ত দৈনিক শিক্ষাডটকমের ওয়েবসাইটে এই জরিপ চলানো হয়।
দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিচালিত এই জরিপে অংশ নিয়েছেন মোট ২ হাজার ৪৮০ জন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন ৮১৮ জন এবং ‘না’ ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৫৮৮ জন মানুষ। হ্যাঁ বা না কোনো মন্তব্য করেননি ৭৪ জন।
জরিপের প্রশ্ন করা হয়েছিলো কোচিং সেন্টার বন্ধ করে প্রশ্নফাঁস ঠেকানো কি সম্ভব?
জরিপে ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’–এর পাশাপাশি ‘মন্তব্য নেই’ নামে আরেকটি ঘর ছিলো।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছরই বোর্ড পরীক্ষা এলে দেখা যায় প্রশ্নফাঁস ও গুজব ছড়ানোর মতো ঘটনা ঘটে অহরহ। আর এসব ঘটনায়জুড়ে থাকে কোচিং সেন্টারগুলোর নাম। তাই পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নফাঁস ও গুজব ঠেকাতে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে এরপরও প্রশ্নফাঁস ও নকলের ছড়াছড়ি দেখা যায় পরীক্ষায়।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।