স্বার্থন্বেষী একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই বিষয়টিকে অপব্যাখ্যা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও অনাস্থা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার পর পুলিশ কর্তৃক সেনা সদস্য হেনস্তা সংক্রান্ত সেনাসদরের চিঠি বিষয়ক অপব্যাখ্যা প্রসঙ্গে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে বাংলদেশে সেনাবাহিনী।
এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সেনা সদরের একটি প্রশাসনিক চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে সংঘটিত ঘটনাসমূহে সেনা সদস্যদের হেনস্তার শিকার হওয়ার কিছু অভিযোগ সম্বলিত একটি তালিকা আহ্বানের কথা উল্লেখ ছিল। এ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে জানানো যাচ্ছে যে, উক্ত চিঠিটি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে গঠিত ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ এর চাহিদার প্রেক্ষিতেই তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে কেবলমাত্র প্রেরণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে, যেকোনো রকম ভুল ব্যাখ্যা বা অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া পরিহারের স্বার্থে উক্ত চিঠির কার্যক্রম সেনা সদর কর্তৃক তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করা হয়।
একটি স্বার্থন্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই বিষয়টিকে অপব্যাখ্যা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও অনাস্থা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ-উভয়ই দেশের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমন্বয় ও পেশাগত সৌহার্দ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে একযোগে কাজ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা গণমাধ্যমে এ বিষয়ক বিভ্রান্তিকর বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।