পাবনার কাজিরহাট ও মানিকগঞ্জের আরিচা নৌপথে যাত্রী ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিক ও চালকরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে এ পথে স্পিডবোট বন্ধ রাখায় ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে আরিচা-কাজিরহাট রুটে স্পিডবোট সার্ভিস চালু হয়। যার নিয়ন্ত্রণ ছিল দুই পাড়ের আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে। নৌ- প্রায় ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রুটে জনপ্রতি যাত্রী ভাড়া ২১০ টাকা নির্ধারণ করে বিআইডব্লিউটিএ। কিছুদিন পর জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, চালক বেতন ও অন্যান্য খরচ বিবেচনায় বোট মালিকরা যাত্রী ভাড়া ২৫০ টাকা হারে আদায় করতে শুরু করেন।
ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর নতুন লাইসেন্স নিয়ে স্পিডবোট চলাচল আবারও শুরু হয়। তখনও ২৫০ টাকা ভাড়াই নেওয়া হচ্ছিল।
সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ আবার ২১০ টাকা হারে ভাড়া আদায়ের নির্দেশনা দিলে মালিকেরা ক্ষতির মুখে পড়ার অভিযোগ তোলেন। তাদের দাবি, ঈদ বা যেকোনো বিশেষ সময় যাত্রীর চাপ থাকলেও ফিরে আসার পথে যাত্রী না থাকায় লোকসান বেড়ে যায়।
কাজিরহাট স্পিডবোট মালিক সমিতির সভাপতি রইস উদ্দিন বলেন, ভাড়া বাড়ানোর আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই ২৫০ টাকা ভাড়া পুনর্নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বিআইডব্লিউটিএ আরিচা ট্রাফিক সুপারভাইজার আফসার আলী বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে স্পিডবোড চলাচল বন্ধ রয়েছে। যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
বিআইডব্লিউটিএর নগরবাড়ি-কাজিরহাট ঘাট কার্যালয়ের পোর্ট অফিসার আব্দুল ওয়াকিল বলেন, “স্পিডবোট মালিক সমিতি থেকে ভাড়া বৃদ্ধির জন্য একটি আবেদন করেছেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় প্রায় এক মাস আগে স্পিডবোট ভাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মালিকদের দাবি অনুযায়ী ভাড়া বৃদ্ধি না করায় এ রুটে স্পিডবোট সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে।”
তবে এতে ঈদ যাত্রায় কোনো সমস্যা হবে না দাবি করে তিনি বলেন, স্পিডবোট বন্ধ থাকলেও লঞ্চ-ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে।