মাত্র ১০ টাকার পানের বিলকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীরকে (২৪) ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হুমায়ূন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ওই ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টায় সহনাটী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আবুল কাসেমের দোকানে পানের ১০টাকা বিল নিয়ে রানা ও বাদলের ঝগড়া হয়। এ সময় হুমায়ুন সেই ঝগড়া মিটিয়ে ১০টাকা পরিশোধ করে দিয়ে আসে। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার বিকেলে তারা হুমায়ূনের ওপর হামলা চালায়।
সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রতন মিয়া জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হুমায়ুন কবীর ও সোহাগ মিয়া বাড়ি থেকে পাছার বাজারে যাচ্ছিলো। যাওয়ার পথে রানা ও বাদল ওর পথরোধ করে। এ সময় হুমায়ুন দৌঁড়ে তারা মিয়ার চায়ের দোকানে গেলে সেখানে তাকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে গৌরীপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।প্রত্যক্ষদর্শী সোহাগ মিয়া জানান, তিনি ও হুমায়ুন একসঙ্গে আসছিলেন। পাছার বাজারে আসার পথে তারা সোনাকান্দি গ্রামের আব্দুর রাশিদ মাস্টারের বাড়ির পুকুরের কাছে পৌঁছালে বাদল মিয়া ও রাশেদুল রানা তাদের গতিরোধ করে। হুমায়ুন তখন প্রাণভয়ে দৌঁড়াতে থাকে। এ সময় হুমায়ুনকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন সোহাগ মিয়া। এক পর্যায়ে তারা মিয়ার দোকানে ঢুকে পড়েন হুমায়ুন। বাদল ও রানা সেখানে ঢুকে হুমায়ুনকে ছুরিকাঘাত করে।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, চা-পান খাওয়া নিয়ে বৃহস্পতিবার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।