১৮তম এনটিআরসিএ পরীক্ষায় ফেল করাদের যতো অভিযোগ | শিক্ষক নিবন্ধন নিউজ

১৮তম এনটিআরসিএ পরীক্ষায় ফেল করাদের যতো অভিযোগ

‘এবারের পরীক্ষায় বোর্ডভেদে স্পষ্ট বৈষম্য লক্ষ্য করা গেছে। কোনো কোনো বোর্ডে প্রশ্নপত্র ছিলো সহজ ও গ্রহণযোগ্য, যেখানে অধিকাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। অথচ অন্য কোনো বোর্ডে প্রশ্ন এতটাই উদ্ভট ও বিভ্রান্তিকর ছিলো যে, সেখানকার অধিকাংশ মেধাবী পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন। এমনকি কোনো বোর্ডে মাত্র একজনকে পাস দেখানো হয়েছে, যা অত্যন্ত অমানবিক ও দুর্ভাগ্যজনক।’

#শিক্ষক নিবন্ধন #এনটিআরসিএ #অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন #পরীক্ষা

অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে ৪ জুন। এতে ২০ হাজার ৬৮৮ জন প্রার্থী ফেল করেছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফেল করা প্রার্থীরা। তারা বলছেন, বোর্ডভেদে বৈষম্য করা হয়েছে। যেসব বোর্ডে অস্বাভাবিকভাবে কম পাসের হার হয়েছে, তা পূনর্মূল্যায়ন বা তদন্তের আওতায় আনা হোক।

ফল প্রকাশের পর থেকেই দৈনিক শিক্ষাডটকম অফিসে ফোন করে, মেসেজ পাঠিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমনটাই জানাচ্ছেন অসংখ্য ফেল করা প্রার্থী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এবারের পরীক্ষায় বোর্ডভেদে স্পষ্ট বৈষম্য লক্ষ্য করা গেছে। কোনো কোনো বোর্ডে প্রশ্নপত্র ছিলো সহজ ও গ্রহণযোগ্য, যেখানে অধিকাংশ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। অথচ অন্য কোনো বোর্ডে প্রশ্ন এতটাই উদ্ভট ও বিভ্রান্তিকর ছিলো যে, সেখানকার অধিকাংশ মেধাবী পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন। এমনকি কোনো বোর্ডে মাত্র একজনকে পাস দেখানো হয়েছে, যা অত্যন্ত অমানবিক ও দুর্ভাগ্যজনক।

আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, একটি জাতীয় পর্যায়ের নিয়োগ পরীক্ষায় কীভাবে বোর্ডভেদে এতোটা বৈষম্য থাকতে পারে? এটি শুধুমাত্র আমাদের মেধা ও প্রয়াসকে অসম্মানই করে না, বরং নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।

আমরা বিনীতভাবে অনুরোধ জানাই, সব বোর্ডে প্রশ্ন ও মূল্যায়নে সমতা আনা হোক। যেসব বোর্ডে অস্বাভাবিকভাবে কম পাসের হার হয়েছে, তা পূনর্মূল্যায়ন বা তদন্তের আওতায় আনা হোক। ভবিষ্যতের পরীক্ষাগুলোতে সুষ্ঠুতা, নিরপেক্ষতা ও সাম্য নিশ্চিত করা হোক।

আরো এক পরীক্ষার্থী বলেন, কোনো বোর্ডে ৩০ জনের মধ্যে একজন পাস করেছে। আবার কোনো বোর্ডে ৩০ জনের ২৭ জন। এখানে কোনো না কোনো অনিয়ম হয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। আমাদের ফলাফল পনুরায় প্রকাশ করতে হবে। এ দাবিতে আমরা শিগগিরই এনটিআরসিএর সামনে আন্দোলন করবো।

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রার্থী বলেন, ১৮তম নিবন্ধনে ২০ হাজারের বেশি প্রার্থীকে ফেল করানো হয়েছে। অথচ ভাইভায় মৌখিক পরীক্ষার ২০ নম্বরের মধ্যে প্রশ্নোত্তরের জন্য রয়েছে মাত্র ৪ নম্বর। এই ৪ নম্বরের জন্য কেউ ফেল করবে এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অতীতে কোনো নিবন্ধনে এত বিপুল সংখ্যক প্রার্থী ফেল করেননি।

সেতু রহমান নামের এক প্রার্থী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ১৮তম ভৌত বিজ্ঞানে ভাইভা প্রার্থী। ভৌত বিজ্ঞান (রসায়ন+পদার্থ) প্রায় ১১ হাজার ৫০০টি সিট ফাঁকা কিন্তু এতো সিট ফাঁকা থাকা সত্বেও এনটিআরসিএ মাত্র ২ হাজার ৯০০ পাস করিয়েছে। ১ হাজার ১০০ –এর মত ফেল। ২-১ মিনিট ভাইভা নিয়ে আমাদের ফেল করানো হয়েছে, যা একটা বৈষম্য। ১৮তম নিবন্ধনের ফলাফলে অসঙ্গতি রয়েছে। সার্কুলারের নিয়মে মোট আসনের ২০ শতাংশ বেশি পাস করানোর কথা। কিন্তু ১ লাখের বেশি সিট খালি থাকা সত্ত্বেও ৩০ শতাংশ ফেল করানো হয়েছে। যা অস্বাভাবিক। আগের নিবন্ধন ফলে ৭-৮ শতাংশের বেশি ফেল করানো হয়নি।

আরেক পরীক্ষার্থী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এই ফলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে প্রায় এক তৃতীয়াংশ ফেল করানো হয়েছে। আমি নিজে ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ে সফলভাবে প্রিলি, রিটেন পাস করার পরে ও ভাইভাতে ফেল করানো হয়েছে। যেখানে এই শিক্ষক পদে ১৩ হাজারের বিপরীতে মাত্র ৪ হাজার ১০০ জন ভাইভা দিয়েছিলো। এতো বিপুল সংখ্যক পদ ফাঁকা রেখে শিক্ষক সংকট দূর না করে এভাবে ফেল করানোটা বৈষম্যের শামিল। তাই এই ফল বাতিল করে ফের ফল দেয়ার দাবি জানাই। কারণ বিগত নিবন্ধন পরীক্ষায় কখনো এতো বিপুল সংখ্যক ফেল হয়নি।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#শিক্ষক নিবন্ধন #এনটিআরসিএ #অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন #পরীক্ষা