ফাইল ছবি
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই দিনের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার হলেও, কর্মসূচির প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর ও ডিপোগুলোতে। দুই দিনের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির ফলে চট্টগ্রামের ডিপোগুলোতে ১৪ হাজার রপ্তানিবাহী কনটেইনার আটকা পড়ে আছে। পাহাড় সমান এই কন্টেইনারের স্তুপ কবে সরানো সম্ভব হবে তা জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে গতকাল (রোববার) রপ্তানির শুল্কায়নসহ কিছু কাজ শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে ১৪ হাজার কন্টেইনার এখন সময়মতো আর রপ্তানির করা যাবে না। জানা গেছে আটকে পড়া রপ্তানি পণ্যের সিংহভাগই পোশাকশিল্পের। ব্যবসায়ীরা জানান আটকে পড়া কনটেইনার পণ্যের কোনোটিই আর সময়মতো ক্রেতার হাতে পৌঁছাবে না। দুই দিনের কর্মসূচিতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তাদের।
সূত্র জানায়, গতকাল তিনটি জাহাজ বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু রপ্তানি কনটেইনার ডিপো থেকে না আসায় জাহাজ তিনটি বন্দর ছেড়ে যেতে পারেনি। কনটেইনার না পেয়ে তিন জাহাজই এখন জেটিতে অলস বসে আছে।কর্মকর্তারা জানান রপ্তানি পণ্য প্রথমে কারখানা থেকে ডিপোতে আনা হয় সেখানে সব প্রক্রিয়া শেষে বুকিং অনুযায়ী বন্দরে এনে জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। গত দুই দিনের কর্মসূচির প্রভাবে বন্দরে কনটেইনার জাহাজের জট তৈরি হয়েছে।
এছাড়া কর্মসূচির আগে জেটিতে ভেড়ানোর জন্য সাগরে অপেক্ষমাণ ছিল ১৩টি জাহাজ গতকাল দ্বিতীয় দিনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২১টিতে। ফলে আমদানি পণ্য হাতে পেতে এখন অপেক্ষার সময় বাড়বে এবং এতে বন্দরের পরিচালন কার্যক্রমও ব্যহত হবে।শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।