কেওয়াটখালী সেতু অনুমোদিত নকশায় নির্মাণের দাবি | বিবিধ নিউজ

কেওয়াটখালী সেতু অনুমোদিত নকশায় নির্মাণের দাবি

ময়মনসিংহের বহুল প্রতীক্ষিত কেওয়াটখালী সেতু নির্মাণের অভিযোগ তুলেছেন সদাজাগ্রত ময়মনসিংহ নামের একটি সংগঠন।

#ময়মনসিংহ #সেতু নির্মাণ

অনুমোদিত নকশা উপেক্ষা করে ময়মনসিংহের বহুল প্রতীক্ষিত কেওয়াটখালী সেতু নির্মাণের অভিযোগ তুলেছেন সদাজাগ্রত ময়মনসিংহ নামের একটি সংগঠন।

রোববার (১৩ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রধান সংগঠক আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, একনেক অনুমোদিত সোজা স্টিল আর্চ ব্রিজের পরিবর্তে এখন বাঁকা আকৃতির একটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে, যা পুরো শহরে নতুন করে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি করবে।

কেওয়াটখালী স্টিল আর্চ ব্রিজের বিপক্ষে নন জানিয়ে আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, আমরা চাই, দ্রুততম সময়ে সেতুর কাজ শেষ হোক। সেতুর শম্ভুগঞ্জ সংযোগ সড়কটি এমনভাবে নির্মাণ করা হোক যেন দুই সেতুর সংযোগ সড়ক একটা না হয়।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ময়মনসিংহ স্ট্র্যাটেজিক ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান (এমএসডিপি) অনুযায়ী কেওয়াটখালী এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে একটি যুগপৎ সড়ক ও রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ আগস্ট একনেকের অনুমোদিত নকশায় সেটির প্রতিফলন ছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুর নির্মাণকাজ ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।

তবে অভিযোগ উঠেছে, প্রকল্পের কাজ মূল নকশা অনুসরণ না করে এখন ২ হাজার ৩০০ মিটার দীর্ঘ বাঁকা সেতুর মাধ্যমে পুরনো শম্ভুগঞ্জ চায়না সেতুর সংযোগ সড়কে মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে যানজট আরও বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নকশা পরিবর্তনের কারণে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদরাসা, ৭টি জলাশয়, একটি খাল, কৃষিজমি এবং ৬৫টি বসতবাড়ি, দোকান ও কারখানা উচ্ছেদের আওতায় পড়েছে। এর ফলে প্রায় ৩২ একর নতুন জমি অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে এবং প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ২ থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। বক্তাদের দাবি, এই ব্যয়ে আরো দুটি সেতু নির্মাণ করা সম্ভব।

সংগঠনের প্রধান সংগঠক আবুল কালাম আল আজাদ বলেন, এই সেতু নির্মাণের পেছনে একাধিক আবাসন প্রকল্প ও একটি দুর্নীতিবাজ চক্র কাজ করছে, যারা নিজেদের স্বার্থে শহরের স্থবিরতা তৈরি করছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করবো।

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ২২ জানুয়ারি একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। যদিও এখনও রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। বরং অভিযোগকারীদের হুমকি, হামলা ও মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সংগঠনের। সবশেষে, সংগঠন হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। আবুল কালাম আল আজাদ বনাম বাংলাদেশ সরকার মামলায় আদালত গত ৪ জুন রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন, কেন একনেক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী সেতু নির্মাণ করা হবে না এবং কেন নকশা বহির্ভূত কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হবে না।

#ময়মনসিংহ #সেতু নির্মাণ