অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের নামসহ অন্যান্য ভুল ই-সনদ পাওয়ার আগে সংশোধন করা যাবে না। ই-সনদ হাতে পাওয়ার পর তা সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে প্রার্থীদের।
রোববার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ তথ্য জানান।
তারা বলেন, সম্প্রতি নামের বানানে ভুলসহ অন্যান্য ভুল সংশোধনের জন্য অসংখ্য প্রার্থী এনটিআরসিএ অফিসে যোগাযোগ শুরু করেছেন। তাদের ই-সনদ পাওয়ার আগে এই ভুলগুলো সংশোধনের সুযোগ নেই। ই-সনদ পাওয়ার পরপরই তারা ভুল সংশোধনে আবেদন করবেন এবং পর্যায়ক্রমে কর্তৃপক্ষ যাচাই- বাছাই করে ভুল সংশোধন করবেন।
কবে নাগাদ ই-সনদ পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে এনটিআরসিএর একজন কর্মকর্তা বলেন, নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছেন না। তবে, শিগগিরই হতে পারে।
আগের পদ্ধতিতে এনটিআরসিএকে নিবন্ধিত প্রার্থীদের সনদ প্রস্তুত করে জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠাতে হতো। পরবর্তীতে নিবন্ধিত প্রার্থীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে এনটিআরসিএ কার্যালয়ে এসে সনদ তুলতে পারতেন। এনটিআরসিএর দেওয়া প্রত্যয়নপত্র বা সনদ পেতে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে চালু হওয়া পদ্ধতি অনুসরণ করতে হতো। যা ছিলো ঝামেলার।
তবে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ পেতে আর ঝামেলা পোহাতে হবে না। এই সনদ তুলতে আর আসতে হবে না এনটিআরসিএ কার্যালয়ে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা অনলাইনে নির্ধারিত প্রক্রিয়া শেষ করে সনদ তুলতে পারবেন। অর্থাৎ এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে থাকা লিঙ্কের মাধ্যমে নিবন্ধিত প্রার্থীরা তাদের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ই-সনদ ডাউনলোড করতে পারবেন। এই লিঙ্ক দেবে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটক। এবার সনদ পাওয়ার প্রক্রিয়া আরো সহজ হবে।
এখন থেকে ওয়েবসাইটে থাকা লিঙ্কের মাধ্যমে যে কেউ সনদের সত্যতা যাচাই করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রেও সনদ যাচাইয়ের লিঙ্ক দেবে টেলিটক।
এছাড়া যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারবেন এনটিআরসিএর হেল্প ডেস্ক ০২-৪১০৩০১৩০ এই নাম্বারে।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৬৬২টি সনদ ইস্যু করা হয়েছে।
এর আগে গত ৪ জুন অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগের প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান এনটিআরসিএ। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে যাত্রা শুরুর সময় শুধু প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী সনদ দেয়া হতো। সেটা দেখিয়ে শিক্ষক পদে আবেদন করা যেতো।
কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনা কমিটির নেয়া পরীক্ষাই ছিলো চূড়ান্ত। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের চূড়ান্ত দায়িত্ব পায় এনটিআরসিএ।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।