ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের এক স্কুলে ছাত্রীদের সঙ্গে আচরণ ঘিরে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় আর. এস. দামানি স্কুলে শৌচাগারে রক্তের দাগ দেখতে পাওয়ার পর শিক্ষকরা পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
অভিযোগ উঠেছে, এর একপর্যায়ে কয়েকজন ছাত্রীকে পোশাক ও অন্তর্বাস খুলে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হয়—যা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাজ্যের থানে জেলার শাহাপুর এলাকার এ ঘটনাটি ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টি জানাজানির পর অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তারা স্কুলে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানান এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তোলেন।
পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্রমতে, শৌচাগারে রক্তের দাগ দেখেই কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে চাইলে ছাত্রীদের আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর কিছু ছাত্রীকে সরাসরি শরীর পরীক্ষা করতে বলা হয়, যা তাদের জন্য অপমানজনক ও মানসিকভাবে আঘাতজনক হয়ে ওঠে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, পিরিয়ড একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তা নিয়ে এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষার্থীদের লজ্জা দেওয়া বা অপমান করার কোনো অধিকার কারও নেই।
ঘটনার পর একাধিক ছাত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে বলে অভিভাবকদের দাবি। তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।