এখনো আওয়ামী লীগের মার্কা সচিবালয়ে আছে, হাসিনার বান্ধবি এখনো সচিব রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। ড. ইউনূসকে কেউ যেনো ষড়যন্ত্রের ফাঁদে ফেলতে না পারে সেদিকে খেয়াল রেখে রোজার আগেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার দুপুরে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে (আইডিইবি) ওলামাদলের এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, কারো রক্তচক্ষুর ভয়ে আমরা থেমে থাকিনি। ওলামা দলের নেতা-কর্মীরা যখন হাসিনার পুলিশি বাহিনীর ভয়ে সভা সমাবেশ করার সাহস ছিলো না। তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা যখন আন্দোলনে নামি তখন পিছনে পেয়েছি এই ওলামাদলের কর্মীদের।
তিনি বলেন, আজকে যারা ইসলামের নামে ধর্মের নামে সোহারাওয়ার্দী উদ্যানে যেভাবে আপনারা জড়ো হচ্ছেন তাতে আমার আপত্তি নেই। তবে দেশের চলমান রাজনৈতিক অঙ্গনে আপনারা যেভাবে কথা বলে ষড়যন্ত্র সৃষ্টি করছেন এটা কিন্তু ওলামাদল বরদাস্ত করবে না।
ওলামাদল জাতীয়তাবাদী শক্তির একটা অঙ্গ। আরো বহু অঙ্গ আরো আছে। বিএনপিকে আন্ডারস্টিমেট করার সময় এখন আর নেই। যে বিএনপি সেনবাগ থেকে কুড়িগ্রাম গিয়ে রিকশা চালিয়ে জীবন ধারণ করেছে, যে কর্মীরা রাতে হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে রাত কাটিয়েছে তারা এখনো জীবিত, একটি লোকও আওয়ামী লীগে যোগ দেয়নি।
এখন মসজিদে-মসজিদে ইসলামের নামে সংগঠন তৈরি করে বিএনপিকে আন্ডারস্টিমেট করার একটা শক্তি সাহস আপনাদেরকে কে দিয়েছে। আমাদের ধমক দিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত করবেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি তা মেনে নেবে না।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, তাই আজকে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন এটা কীসের ষড়যন্ত্র? ইউনূসকে ক্ষমতায় রাখার জন্য। আপনারা চরমোনাই পীর অত্যন্ত মুরব্বি মানুষ শ্রদ্ধা করি। নূরকেও অনেকে স্নেহ করি, জামায়েত ইসলাম আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু ছিলেন। সেটা ভুলে গিয়ে আজকে যদি ক্ষমতার লোভে আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। জাতীয় সংসদ নিবার্চনের আগে আপনারা ইউপি নির্বাচন চাইবেন এটা আপনাদের কাছে আশা করিনি। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে প্রয়োজন নির্বাচন।
এর আগে তিনমাসে যদি সাহাবুদ্দিন নির্বাচন দিতে পারে তাহলে ১১ মাস চলে যাচ্ছে নির্বাচন হচ্ছে না। এটা কীসের ইঙ্গিত বহন করে? নিশ্চয়ই কোনো ষড়যন্ত্র চলছে, লন্ডনে তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের বৈঠকের প্রত্যাশাকে নষ্ট করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। দুইদিন আগেও পিআর সংখ্যানুপাত নিয়ে যে আলোচনা চলছে এটাকে আমরা মনে করি একটা ষড়যন্ত্র, নির্বাচনকে ব্যাহত ও বিলম্বিত করার জন্য।