পবিত্র হজ আজ, আরাফায় আনুষ্ঠানিকতা শুরু | বিবিধ নিউজ

পবিত্র হজ আজ, আরাফায় আনুষ্ঠানিকতা শুরু

হিজরি ১৪৪৬ খ্রিষ্টাব্দ এ বছর হজ পালিত হচ্ছে। আজ, ৯ জিলহজ, হাজিরা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন। সূর্যাস্তের পর তারা মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে আদায় করে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা হবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে সেখানে রাতযাপন করবেন এবং শয়তানকে পাথর মারার জন্য প্রয়োজনীয় পাথর সংগ্রহ করবেন।

#হজ

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে আজ (৫ জুন)। আরাফাতের ময়দানে লাখো কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে ‘তালবিয়া’— লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা-শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।

হিজরি ১৪৪৬ খ্রিষ্টাব্দ এ বছর হজ পালিত হচ্ছে। আজ, ৯ জিলহজ, হাজিরা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে বিবেচিত। সূর্যাস্তের পর তারা মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে আদায় করে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা হবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে সেখানে রাতযাপন করবেন এবং শয়তানকে পাথর মারার জন্য প্রয়োজনীয় পাথর সংগ্রহ করবেন।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত হাজিরা মক্কার পার্শ্ববর্তী মিনায় অবস্থান করছেন। হাজিদের জন্য এখানে অত্যাধুনিক সুবিধাসম্পন্ন তাঁবু প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা আলাদা তাঁবু রয়েছে। হাজিরা তাঁদের নিজ নিজ তাঁবুতে নামাজ, দোয়া ও অন্যান্য ইবাদত পালন করছেন।

মক্কা নগরী থেকে মিনায় অবস্থান করার পর, আজ ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা রওনা হয়েছেন আরাফাতের ময়দানে। সেখানে তারা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এই সময়টিতে তারা আল্লাহর জিকির, দোয়া ও মোনাজাতে মগ্ন থাকবেন।

এটি হাদিসে উল্লিখিত হজের অন্যতম ফরজ আমল। আরাফাতের ময়দানে হাজিরা ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত করবেন। এই দিনে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও দোয়া করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পবিত্র হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম এবং প্রতি বছর বিশ্বের মুসলিমরা এটি পালন করতে সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনায় সমবেত হন। হিজরি ক্যালেন্ডারের ১২তম মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ১২ জিলহজ পর্যন্ত চলা এই ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হজের প্রথম দিন, অর্থাৎ ৮ জিলহজে, হাজিরা ইহরাম পরিধান করে মিনায় পৌঁছান। এদিন তারা মিনায় অবস্থান করেন এবং ৯ জিলহজে আরাফাতের ময়দানে পৌঁছান। এখানে তারা সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করেন এবং জোহর ও আসরের নামাজ একত্রে আদায় করেন। এটি ‘উকুফে আরাফা’ নামে পরিচিত, যা হজের অন্যতম ফরজ আমল। সূর্যাস্তের পর হাজিরা মুজদালিফার উদ্দেশ্যে রওনা হন, যেখানে তারা মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে আদায় করেন এবং রাতযাপন করেন।

১০ জিলহজে, হাজিরা মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরে আসেন এবং বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করেন। এরপর পশু কোরবানি করেন এবং মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে সাধারণ পোশাক পরিধান করেন। এরপর তারা কাবাঘর তাওয়াফ করেন এবং সাফা-মারওয়ায় সাঈ (চক্কর) সম্পন্ন করেন।

১১ ও ১২ জিলহজে, হাজিরা মিনায় অবস্থান করেন এবং প্রতিদিন শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করেন। শেষে, তারা বিদায়ী তাওয়াফ করে মক্কা ত্যাগ করেন।

#হজ