দৈনিক শিক্ষার পক্ষ থেকে পিএসসির চেয়ারম্যানের কাছে প্রশ্ন ছিলো-দেশের হাজার হাজার তরুণ তরুণীর স্বপ্নের চাকরি বিসিএস। সেই স্বপ্নবাজদের কিভাবে বেছে নেয় পাবলিক সার্ভিস কমিশন-পিএসসি। তাদের কিভাবে মূল্যায়ন করা হয়। পরীক্ষার খাতা দেখার পদ্ধতিটা আসলে কেমন? সিঙ্গেল এক্সামিনার নাকি ডাবল এক্সামিনার ?
উত্তরে পিএসসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোমেন বলেন, বর্তমান খাতা দেয়ার ডাবল এক্সামিনারি সিস্টেম চালু আছে। হাজার হাজার চাকরি প্রার্থীর অপেক্ষার সময় কমিয়ে আনতে তারা একটি নতুন সিস্টেম চালুর কথা ভাবছেন। তিনি বলেন, নতুন সিস্টেম ৪৬তম বিসিএস থেকে কার্যকর করতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আইনী কিছু কারণে তা ৪৭তম বিসিএস থেকে শুরু হবে। নতুন পদ্ধতিটি চালু হলে রান টাইম এখন যা আছে, তার চেয়ে অনেকাংশে বা বহুলাংশে কমে যাবে। এর ফলশ্রুতিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করা সক্ষম হবে।
ড. মোবাশ্বের বলেন, ‘আর ভাইভার ব্যাপারে? ৪৭তম বিসিএস থেকে ১০০ মার্কস। আমরা কিন্তু আরো ভাবছি ভাইভাতে ১০০ কেন? প্রয়োজনে এটাকে আমার ৫০ নম্বর করে ফেলতে পারবো। ডিজিটাল একটা অ্যাসেসমেন্ট থাকতে পারে। যেখানে হিউম্যান বিয়িং বলে কিছু থাকবে না। এরপরে ৫০ মার্কস হয়তোবা গতানুগতিক যে ভাইভা সেরকমভাবে নেওয়া হবে। এটা হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ। চেষ্টা করবো যা যা বলেছি, যতোদিন আমরা এই কমিশনে থাকবো, তার মধ্যেই যেন তা নিশ্চিত করতে পারি।’
কিন্তু পিএসসির এই সদস্যরা কী এত অল্প সময়ের মধ্যে এতগুলো গুরুত্বপূর্ন কিছু ক্ষেত্রে মৌলিক বিষয়েও পরিবর্তন আনতে পারবেন? এমন প্রশ্নে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেখেন, যেকোনো ট্রান্সফরমেশন যখন করতে হয়, এই ট্রান্সফরমেশনের জন্য কতগুলো বিষয়কে কনসিডার করতে হয়। একটা হচ্ছে যেমন- আমি বলি, ডিজায়ার অ্যাবিলিটি। এই ট্রান্সফারমেশনটি করার জন্য আমাদের ডিজায়ার আছে কি-না? আমাদের স্টেক হোল্ডারদের ডিজায়ারটা আছে কি-না? অথবা সোশ্যাল লেভেলে অথবা বেটার সোশ্যাল সোসাইটিতে এই বিষয়ে একটা বেটার ডিমান্ড তৈরি হয়েছে কি-না? পিএসসির সংস্কার নিয়ে আমার মনে হয়, এটা হয়েছে। একটা ডিজায়ার অ্যাবিলিটি গ্রেটার সোসাইটিতেও আছে। আমাদের স্টেক হোল্ডারদের মধ্যেও আছে। আমরা যারা এসেছি এই কমিশনের মেম্বার, আমাদের সবার মধ্যে আছে। যে ডিজায়ার অ্যাবিলিটি সোশ্যাল লেবেলে তৈরি হয়েছে, সেটাকে স্ক্রল করার মতো সক্ষমতা আমাদের এই কমিশনের রয়েছে। তাই আমার সেদিকেই যাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, তাঁর বিশ্বাস যখন একটা ট্রান্সফরমেশন করতে হয় তখন এর জন্য কাজের একটা সেন্স অফ আর্জেন্সি তৈরি করার দরকার পরে। কোন প্রয়োজনটা জরুরী কোনটা এখনই না হলেও চলবে এমন বিচার বিশ্লেষণ করেই কাজে এগিয়ে নিতে হয়। তারা এখন সেই পদ্ধতিটিই আগে তৈরি করার চেষ্টা করছেন বলেও জানানি তিনি। কোন কাজগুলো অগ্রাধিকারের তালিকার শুরু দিকে থাকবে সেগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও ইনস্টিটিউশনগুলোর সাথেও কাজ শুরু করেছেন বলে জানান পিএসসির চেয়ারম্যান। তারা নিজেদের কর্মপদ্ধতির ধারনাটা ইতিমধ্যে সরকারের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি। কারণ পিএসপি পরিবর্তন আনার চেষ্টা শুরু করেছেন এর জন্য সরকারের দিক থেকে যত প্রকার সহায়তা প্রয়োজন হবে তা যেন অব্যাহত থাকে।
বি:দ্র: দৈনিক আমাদের বার্তার ঈদুল আজহা সংখ্যা ২০২৫ এ পিএসসি চেয়ারম্যানের একটি পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাতকার রয়েছে।