দুধের অভাবে গাজায় শত শত শিশু মৃত্যুঝুঁকিতে | বিবিধ নিউজ

দুধের অভাবে গাজায় শত শত শিশু মৃত্যুঝুঁকিতে

ইসরায়েলের আগ্রাসনে প্রতিনিয়ত গাজায় মারা যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। হামলায় অনেক শিশুর বাবা-মা মারা গেছেন। আবার আহত অনেক চিকিৎসাধীন। এসব শিশুর অবস্থা খুবই করুণ।

#গাজা #ইসরায়েল #গাজায় হামলা #শিশু

ইসরায়েলের আগ্রাসনে প্রতিনিয়ত গাজায় মারা যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। হামলায় অনেক শিশুর বাবা-মা মারা গেছেন। আবার আহত অনেক চিকিৎসাধীন। এসব শিশুর অবস্থা খুবই করুণ। একেবারে হাড্ডি-চর্মসার অবস্থা তাদের। এ রকম শত শত শিশুকে এখন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ছে।

চিকিৎসকরা বলেছেন, ইসরায়েল গাজায় বেবি ফর্মুলা (নবজাতক ও ছোট শিশুদের খাওয়ানোর জন্য একধরনের দুধ) পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে। দুধের অভাবে এই হাড্ডিসার শিশুদের বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। গাজার বাসিন্দারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, দুধের তীব্র ঘাটতির মধ্যে শত শত শিশু এখন মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছে।

খান ইউনিসের আল নাসের হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. আহমেদ আল-ফাররা বলেন, তার ওয়ার্ডে মাত্র এক সপ্তাহের জন্য প্রয়োজনীয় শিশু ফর্মুলা অবশিষ্ট ছিল। ডাক্তারদের কাছে থাকা শিশুদের জন্য বিশেষায়িত ফর্মুলা ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। দুধের অভাবে শিশুরা ধীরে ধীরে মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে।

গাজার ফিল্ড হাসপাতালের পরিচালক ডা. মারওয়ান আল-হামস শনিবার এনবিসি নিউজকে বলেন, আমাদের হাসপাতালে বর্তমানে কোনো ধরনের শিশু খাদ্য নেই, এমকি ইনকিউবেটরে ব্যবহৃত চিকিৎসা সূত্রও আমাদের কাছে নেই।

তিনি আরও বলেন, গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েদের অপুষ্টি পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে, যা নবজাতক এবং শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির ঘটনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

আল-হামসের মতে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ক্ষুধা ও অপুষ্টির কারণে কমপক্ষে ৬৬ জন শিশু মারা গেছে।

গাজার চিকিৎসকরা বলছেন, সঠিক পুষ্টির অভাবে শিশুরা কেবল দুর্বলই হয় না, বরং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। প্রোটিনের অভাব দ্রুত সংক্রমণ, ফোলাভাব এবং অঙ্গ ব্যর্থতার মতো অন্যান্য জটিলতার সৃষ্টি করে।

এদিকে শিশু খাদ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্য সরবরাহে বাধা দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রতি তীব্র নিন্দা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

গাজার অবনতিশীল স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতি নিয়ে এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবরোধের ফলে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, দুর্ভিক্ষ আরও তীব্র হয়েছে এবং শিশু খাদ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন অবিলম্বে গাজার শিশুদের বাঁচাতে হস্তক্ষেপ করে, যারা এক অভূতপূর্ব মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি।

#গাজা #ইসরায়েল #গাজায় হামলা #শিশু