শিক্ষকদের সম্মানী সময়মতো দিলে খাতা মূল্যায়নে অনীহা থাকবে না, মত ৯২ শতাংশের | স্কুল নিউজ

শিক্ষকদের সম্মানী সময়মতো দিলে খাতা মূল্যায়নে অনীহা থাকবে না, মত ৯২ শতাংশের

জরিপে অংশ নেয়া বাকি ৭ শতাংশ মানুষ এমন বক্তব্যে একমত নন। এ ছাড়া ১ শতাংশ মানুষ এর পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মত দেননি।

#পরীক্ষা #টাকা #খাতা চ্যালেঞ্জ #শিক্ষক

পাবলিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে অবহেলার অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। পরীক্ষক তথা শিক্ষকদের এই অবহেলার খেসারত দিতে হয় পরীক্ষার্থীদের। প্রতিবছর খাতা চ্যালেঞ্জের পরে রেকর্ড সংখ্যক ফেল থেকে পাস ও ফেল থেকে জিপিএ-৫ পাওয়ারও নজির রয়েছে।

অনেকে বলছেন সময়মতো খাতা দেখার সম্মানী, পর্যাপ্ত সময় না দেয়ায় খাতা মূল্যায়নে অনীহা তৈরি হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে শিক্ষকদের সম্মানী সময়মতো দিলে খাতা মূল্যায়নে অনীহা থাকবে না বলে মনে করেন ৯২ শতাংশ মানুষ। দেশের শিক্ষাবিষয়ক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিচালিত এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।

জরিপে অংশ নেয়া বাকি ৭ শতাংশ মানুষ এমন বক্তব্যে একমত নন। এ ছাড়া ১ শতাংশ মানুষ এর পক্ষে-বিপক্ষে কোনো মত দেননি।

দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিচালিত এই জরিপে অংশ নিয়েছেন মোট ৫ হাজার ৮৮৯ জন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন ৫ হাজার ৪২৯ জন এবং ‘না’ ভোট দিয়েছেন ৩৮৯ জন মানুষ। হ্যাঁ বা না কোনো মন্তব্য করেননি ৭১ জন।

শিক্ষকদের সম্মানী সময়মতো দিলে খাতা মূল্যায়নে অনীহা থাকবে না, মত ৯২ শতাংশের

গত ১২ জুন সকাল থেকে শুরু হয়ে ১৪ জুন দুপুর পর্যন্ত দৈনিক শিক্ষাডটকমের ওয়েবসাইট এই বিষয়ে একটি জরিপ চলানো হয়।

জরিপের প্রশ্ন করা হয়েছিলো, শিক্ষকদের সম্মানী সময়মতো দিলে খাতা মূল্যায়নে অনীহা থাকবে না-আপনারাও কি তাই মত? জরিপে ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’–এর পাশাপাশি ‘মন্তব্য নেই’ নামে আরেকটি ঘর ছিলো।

প্রসঙ্গত, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকের অনেকেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার খাতা দেখায় অনীহা প্রকাশ করেন। এতে এবার ফল মূল্যায়নে জটিলতাও তৈরি হয়। গত মে মাসের মাঝামাঝি পরীক্ষা শেষ হলেও পরীক্ষকরা বোর্ড থেকে মূল্যায়নের জন্য খাতা নিতে যাচ্ছিলেন না। এ পরিস্থিতিতে গত ১৩ মে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকদের খাতা নিয়ে যাওয়ার কঠোর নির্দেশনা দেয়। খাতা না দেখলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়।

ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আবেদন করে প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষক হলেও শিক্ষকদের অনেকেই খাতা মূল্যায়নে অনীহা দেখান।

শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

#পরীক্ষা #টাকা #খাতা চ্যালেঞ্জ #শিক্ষক