সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পাল্টে গেল ক্লাসরুমের চিত্র | শিক্ষা নিউজ

সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে পাল্টে গেল ক্লাসরুমের চিত্র

বলিউডের ‘থ্রি ইডিয়টস’ মানুষকে তথাকথিত চিন্তায় বদল আনতে পেরেছিল। বাস্তব জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ছবি তৈরি হলেও অনেক সময় সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েও পাল্টে যায় বাস্তব জীবন।

#ক্লাসরুম #শিক্ষার্থী

বলিউডের ‘থ্রি ইডিয়টস’ মানুষকে তথাকথিত চিন্তায় বদল আনতে পেরেছিল। বাস্তব জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ছবি তৈরি হলেও অনেক সময় সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েও পাল্টে যায় বাস্তব জীবন। সম্প্রতি এমনই একটি ছবি ধরা পরল ভারতের কেরালা রাজ্যের একটি স্কুলে।

স্কুল হোক বা কলেজ, পিছনের সিটে বসে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের চিরকালই তির্যক চোখে দেখেন সকলে। পিছনে যারা বসে, তারা পড়াশোনায় যে ভালো নয় এমন ধারণা ছোট থেকেই তৈরি হয়ে যায় মানুষের মনে। খুব স্বাভাবিকভাবেই ক্লাসে প্রথম সারিতে বসা ছাত্র-ছাত্রীদের সমীহ করে চলে সকলে। কিন্তু এবার এই ধারণার পরিবর্তন এল কেরালার একটি স্কুলে।

সম্প্রতি মালয়ালম ছবি ‘স্থানার্থী শ্রীকুট্টন’ ছবি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কেরালার বেশ কিছু স্কুল ক্লাসরুমে এনেছে বিশেষ বদল। ওই স্কুলের কোনও ক্লাসরুমেই পিছনের সারিতে বসতে হবে না ছাত্র-ছাত্রীদের। সব পড়ুয়াই বসবে প্রথম বেঞ্চে। কী করে?

আসলে শ্রেণিকক্ষে এমন ভাবে বেঞ্চ সাজানো হয়েছে যাতে কোনও বেঞ্চ অন্য কোনও বেঞ্চের পেছনে থাকবে না। প্রত্যেকটি বেঞ্চ একে অপরের মুখোমুখি হয়ে থাকবে। অর্থাৎ গোটা ক্লাসরুমজুড়ে ইউ আকৃতিতে সাজানো হয়েছে বেঞ্চগুলো, যাতে কাউকে ‘ব্যাক বেঞ্জার্স’ তকমা আর না দেওয়া যায়।

এইভাবে বেঞ্চ সাজানোর ফলে একদিকে যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর সমানভাবে নজর দিতে পারছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা, তেমন অন্যদিকে ছাত্রছাত্রীরাও সমানভাবে পড়া বুঝতে পারছে। এই নিয়ম জারি করার পর পিছনে বসে থাকা ছাত্র-ছাত্রীরাও সমানভাবে পড়ায় মনোযোগী হতে পারছে।

প্রসঙ্গত, ত্রিশূর, পালাক্কাড়, কোল্লাম ও কন্নুরসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে এই বদল আনা হয়েছে স্কুলগুলোতে। ছবি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে স্কুলগুলোর এমন সিদ্ধান্ত দেখে আনন্দে আপ্লুত সিনেমার পরিচালক বিনেশ বিশ্বনাথনও।

#ক্লাসরুম #শিক্ষার্থী