ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল।
শনিবার (১৪ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, ইরানের রাজধানী তেহরানের পাস্তুর এলাকায় ইসরায়েলি হামলা রুখে দিতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করছে দেশটির বাহিনী। আর ওই এলাকায় থাকেন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ও সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
সেখানকার বাসিন্দারা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ওই এলাকায় অব্যাহতভাবে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে মিসাইল ছোড়া হচ্ছে যেন ইসরায়েলি মিসাইল সেখানে কোনোভাবেই আঘাত না করতে পারে।
এর আগে, শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েল। এরপর সারাদিনই দেশটিতে হামলা অব্যাহত রাখে তারা। ভয়াবহ এ হামলায় ইরানের সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান জেনারেল হোসাইন সালামিসহ অন্তত ২০ জন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ অবস্থায় ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই বাহিনীটির নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
দায়িত্ব নিয়েই ইসরায়েলের উদ্দেশে কঠিন হুঁশিয়ারি দেন নতুন আইআরজিসি প্রধান। তিনি বলেন, ইসরায়েলি হামলার জবাবে শিশু হত্যাকারী জায়নবাদী শাসকের জন্য শিগগিরই জাহান্নামের দরজা খুলে যাবে।
নতুন আইআরজিসি প্রধানের এ বার্তার কয়েক ঘণ্টা না যেতেই ইসরায়েলে মিসাইল হামলা শুরু করে ইরান। স্বল্প সময়ের মধ্যে তিন দফায় মিসাইল হামলা করেছে তেহরান, যেখানে প্রথম দফায় ছোড়া হয়েছে শতাধিক মিসাইল। ইরানি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামের’ এ অভিযানে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এরই মধ্যে কয়েকশ মিসাইল ছোড়া হয়েছে।
ইরানের এ হামলার পরই মূলত নতুন করে আবারও হামলা শুরু করে ইসরায়েল।