জোবাইদা-শামিলা হলেন ঢাকার ভোটার

রাজধানী ঢাকার গুলশানের ঠিকানায় ভোটার হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যে তাদের ছবি তুলে ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন তারা।

ডা. জোবাইদা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ও সৈয়দা শামীলা আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী। একই সঙ্গে কোকোর মেয়েরাও ভোটার হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তারা নিবন্ধন হওয়ার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র পেয়েছেন।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এক-এগারোর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়। সে সময় তারেক ও জোবাইদা লন্ডনে ছিলেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দের ১১ সেপ্টেম্বর লন্ডনের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন এই দম্পতি। এরপর তারা দেশে আসেননি, ভোটারও হননি। গত ৬ মে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন। তার সঙ্গে জোবাইদাও দেশে আসেন।

ঢাকায় ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য গত ঈদুল আজহার আগে জোবাইদার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ইসির কর্মকর্তারা। ৫ জুন জোবাইদা লন্ডনে ফিরে যান।

আইন অনুযায়ী, হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তবে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে ভোটার তালিকা আইন সংশোধন করে এর আগেই চূড়ান্ত করার চিন্তা আছে ইসির।

জোবাইদা সম্প্রতি দেশে আসার পর তাকে ঘিরে সিলেটে বিএনপির রাজনীতিতে নানামুখী আলোচনা চলে। তাকে স্বাগত জানিয়ে সিলেটে আনন্দ মিছিলের পর নগরজুড়ে পোস্টারিং করা হয়। বেনামি পোস্টারে তাকে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান বলে জানানো হয়। কোনো ব্যক্তিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে তাকে ভোটার হতে হয়। একজন ভোটার চাইলে দেশের যে কোনো আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন।

ভোটার তালিকার ভুল এড়াতে নির্দেশনা ইসির বাড়ি বাড়ি ভোটার হালনাগাদ সম্পন্ন হয়েছে। তবে এতে যে কোনো ধরনের ভুল এড়াতে মাঠ কর্মকর্তাদের পুনরায় প্রুফ রিডিংয়ের নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। এক্ষেত্রে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কার্যক্রম সম্পন্ন করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নাসির উদ্দিন চৌধুরী এ নির্দেশনা দেন। নির্দেশনাটি সব আঞ্চলিক, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

তবে ভোটারযোগ্য ব্যক্তির সরবরাহ করা তথ্য সঠিকভাবে সন্নিবেশিত না হলে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকার সম্ভাবনা তৈরি হয়। সে কারণে তথ্য সঠিকভাবে সন্নিবেশ করে সম্ভাব্য ভুলত্রুটি এড়াতে পুনরায় প্রুফ রিডিং ও সংশোধন কার্যক্রমের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

#বিএনপি #জোবাইদা রহমান #জাতীয় সংসদ #নির্বাচন কমিশন #খালেদা জিয়া