টানা সাত দিন বন্ধ থাকার পর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের সেবা চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে অপারেশন ও অন্যান্য সেবা কার্যক্রম এখনই শুরু হচ্ছে না। আজ বুধবার সকাল থেকে জরুরি বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়।
হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকাল থেকে জরুরি বিভাগ খোলা হয়েছে। যারা চিকিৎসার জন্য আসছে, তারা চিকিৎসা পাচ্ছে। তবে রোগীর তেমন চাপ নেই। বহির্বিভাগেও চিকিৎসা বন্ধ।
হাসপাতালটি খোলা হলেও সব চিকিৎসক ও কর্মচারী এখনো হাসপাতালে যোগ দেননি।
এ বিষয়ে ডা. জানে আলম বলেন, জরুরি বিভাগ পরিচালনার জন্য যে জনবল দরকার, সেই জনবল এসেছে। সামনে ঈদের ছুটি, তাই সবাই এখনই যোগদান করেনি, কেউ কেউ ছুটিতে রয়েছেন।
হাসপাতালটিতে বর্তমানে কোনো ভর্তি রোগী নেই। কেবল চতুর্থ তলায় গত জুলাইয়ে আহত রোগীদের মধ্যে ৪০ থেকে ৪৫ জন এখনো রয়েছেন। একটি বোর্ড গঠন করে তাঁদের বিষয়ে আজকের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পরিচালক।
জুলাইয়ে আহত আবির আহমেদ শরীফ বলেন, ‘আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্যই লড়াই করে যাচ্ছি। আমরা চাইছি হাসপাতাল খোলা থাকুক। সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাক, আমরাও চিকিৎসা পাই।’
গত ২৮ মে হাসপাতালটির কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাইয়ে আহত রোগীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর নিরাপত্তার অজুহাতে হাসপাতালের সব চিকিৎসক-কর্মচারী হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকেন। এর পর থেকে কোনো ধরনের চিকিৎসা হয়নি হাসপাতালটিতে।দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের প্রধান ফটক থেকে ফিরে যেতে হয়েছে। ভর্তি রোগীরাও একে একে চলে গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের এক বিশেষ বৈঠকের পর আজকে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ খোলার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।