প্রধান উপদেষ্টার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সময় ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলেছে, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে যদি জুলাই সনদ, জুলাই ঘোষণাপত্র ও সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে ঘোষিত এই সময়ে নির্বাচনের বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন জাতীয় নির্বাচন হবে। এর পর নিজেদের অবস্থান জানিয়ে এমন প্রতিক্রিয়া দিয়েছে এনসিপি।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সীমার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য আসবে।
তারপরও প্রধান উপদেষ্টা আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের যে সময়সীমার কথা বলেছেন, যদি এই সময়কালের মধ্যে জুলাই সনদ, জুলাই ঘোষণাপত্র ও সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে ঘোষিত সময়ে নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের উদ্যোগে গঠিত রাজনৈতিক দল এনসিপি বিভিন্ন সময়ে একই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচন দাবি করেছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিও জানাতে দেখা গেছে দলটিকে।
এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের দাবিও তারা সামনে এনেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে আওয়ামী লীগের বিচার ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কারকে এনসিপির রাজনীতির প্রধান এজেন্ডা হিসেবে দেখা গেছে।