যুক্তরাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসরায়েল ইরানে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই। তার দাবি, ওয়াশিংটনের সম্মতি না থাকলে এই হামলা কখনোই হতো না। খবর আল জাজিরার।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনা চলছিল। সে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে বাকাই বলেন, অপর পক্ষ (যুক্তরাষ্ট্র) এমনভাবে আচরণ করেছে, যা সংলাপকে অর্থহীন করে তুলেছে।
আরো পড়ুন
ইরানকে সময় দিয়েছিলাম ৬০ দিন, আজ ৬১ বলে ফের বার্তা ট্রাম্পের
ইরানের জনগণকে বিদ্রোহ করতে বললেন নেতানিয়াহু
ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিম-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই বলেছেন, বিপরীত পক্ষ (যুক্তরাষ্ট্র) এমনভাবে আচরণ করেছে, যা সংলাপকে অর্থহীন করে তোলে। আপনি একদিকে সংলাপের দাবি করতে পারেন না, আর অন্যদিকে কাজ ভাগাভাগি করে দিয়ে ইহুদিবাদী শাসনকে (ইসরায়েল) ইরানের ভূখণ্ডে হামলা চালানোর সুযোগ করে দিতে পারেন না।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল 'কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে' এবং ওয়াশিংটনের অনুমোদন ছাড়া ইসরায়েলের হামলা সম্ভব হতো না।
এর আগে ইরান অভিযোগ করে, ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের মদদ রয়েছে। তবে ওয়াশিংটন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তেহরানকে জানায়, তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
রোববার (১৫ জুন) ওমানের মাসকাটে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ষষ্ঠ দফায় পারমাণবিক আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। তবে ইসরায়েলের হামলার পর আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ইরান বলেছে, তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। তারা গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ইসরায়েলি অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ দিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তিনি ও তার দল আগেই জানতেন ইসরায়েলের হামলা হতে যাচ্ছে; তবে তারপরও তারা একটি সমঝোতার সুযোগ দেখেছিলেন।